• This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by NewBloggerThemes.com.

Welcome to our website

Lorem ipsum eu usu assum liberavisse, ut munere praesent complectitur mea. Sit an option maiorum principes. Ne per probo magna idque, est veniam exerci appareat no. Sit at amet propriae intellegebat, natum iusto forensibus duo ut.
  • Fully Responsive

    • Lorem ipsum dolor sit amet, test link adipiscing elit. Nullam dignissim convallis est lone part
  • Friendly Support

    • Lorem ipsum dolor sit amet, test link adipiscing elit. Nullam dignissim convallis est lone part
  • Maximum Results

    • Lorem ipsum dolor sit amet, test link adipiscing elit. Nullam dignissim convallis est lone part
  • Super image

    • Lorem ipsum dolor sit amet, test link adipiscing elit. Nullam dignissim convallis est lone part Read More

অতি প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস থেকে দূরে রাখুন মুখের ত্বক

অতি প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস থেকে দূরে রাখুন মুখের ত্বক

আমরা সবাই চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য অনেক কিছুই করে থাকি। সঠিক ভাবে রূপচর্চা করলে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু যদি আপনি না জেনে কিছু কিছু জিনিস মুখের ত্বকে ব্যবহার করে থাকেন তখন কিন্তু আপনাকে পস্তাতেই হবে। তাই আজ জেনে রাখুন যে জিনিসগুলোকে আপনার মুখের ত্বক থেকে দূরে রাখবেন অবশ্যই।
১) বডি লোশন
আমরা অনেকেই বডি লোশন আমাদের মুখের ত্বকেও ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু বডি লোশন দেহের ত্বকের জন্য তৈরি করা হয় তাই এটি খুব ভারী হয় ও খুব সুগন্ধিযুক্ত হয়। তাই আপনার মুখের ত্বকের জন্য ব্যবহার করুন গন্ধহীন ও আরও ভাল কোন ক্রিম।
২) হেয়ার স্প্রে
অনেকেই মনে করে থাকেন যে হেয়ার স্প্রে দিয়ে যেহেতু চুল ঠিক রাখা যায় তাহলে হয়তো মেক-আপ করার পর, মেক-আপ যেন বেশিক্ষণ থাকে ও না ঘেমে যায় তার জন্য একটু হেয়ার স্প্রে মুখে দিয়ে দেই। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ হেয়ার স্প্রেতে আছে ‘লেকিউরস ও এলকোহল’ উপাদান যা ত্বকের জন্য খুব খারাপ।
৩) হেয়ার কালার
অনেকেই আছেন কিছুদিন পর পর চুলের রঙ পাল্টে থাকে। তাই মনে করেন যে চুলের রঙের সাথে যদি আইব্রো এর রঙ মিলে যায় তাহলে হয়তো ভাল দেখাবে। কিন্তু চুল কালার করার উপাদানে যে কেমিক্যাল গুলো থাকে তা আমাদের মুখের ত্বকের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই চুলের পাশাপাশি আইব্রো কালার করবেন না।
৪) ডিওড্রেন্ট
ডিওড্রন্ট এর কাজ হল আমাদের বগোলের ঘাম থেকে ও ঘামের দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা করা। তার মানে এই না যে ডিওড্রেন্ট আপনার মুখের ঘামও দূর করবে। তাই এই ভুল কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
৫)শ্যাম্পু
শ্যাম্পু করার সময় মুখে শ্যাম্পুর ফেনা গড়িয়ে আসে সবারই কিন্তু অনেকেই আছেন মনে করেন যে শ্যাম্পুর ফেনা যখন গড়িয়ে এসেছে তাহলে সেই ফেনা দিয়েই মুখ ধুয়ে ফেলি। কিন্তু আপনার এই ধারণাটি মোটেও ঠিক নয় এবং এই কাজটির কারণে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
৬) হেয়ার সিরাম
অনেকেই হেয়ার সিরাম ব্যবহার করে থাকেন। আর হেয়ার সিরামের কাজ হল চুল নরম রাখা, চুলের জটা না বাঁধা, চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা। তাই বলে যে চুলের সাথে সাথে আপনার মুখের ত্বক-কেও হেয়ার সিরাম নরম রাখবে এই ধারণাটি ভুল। চুলে ব্যবহার করার উপাদান ও মুখে ব্যবহার করার উপাদান কখনোই একরকম হয়না।
৭) নেইলপলিশ
নেইলপলিশের কাজ হল আমাদের নখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা। কিন্তু আমরা অনেকেই আছি কপালে টিপ দেয়ার জন্য কিংবা কোন ছোট মেয়ে বাচ্চাকে সাজানোর জন্য নেইলপলিশ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু নেইলপলিশে যে উপাদানগুলো থাকে তা অবশ্যই আমাদের মুখের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
Share:

সুস্থ দাঁতের কিছু টিপস

সুস্থ দাঁতের কিছু টিপস

“তোমার হাসি অনেক সুন্দর “…… এমন প্রশংসা পেতে কার না ভালো লাগে ? কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা প্রাণ খুলে হাসার মত কনফিডেন্স পান না । কারণ একটাই , দাঁত সাদা ও সুন্দর না হওয়া । সুন্দর দাঁত পেতে যে অনেক বেশি খরচ করতে হবে এমন ধারনাও ঠিক নয় । তাই কিছু সাশ্রয়ী , সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়ে সুন্দর, সাদা দাঁত এবং সেই সাথে নজরকাড়া হাসি পেতে রইল কিছু টিপস্‌ –
১) একটি লেবু দুই ভাগ করে কেটে , একটি কাটা অংশ দিয়ে দাঁত ঘষুন । এমন ভাবে প্রয়োগ করুন যাতে লেবু থেকে রস বের হয়। এভাবে আপনার দাঁতের হলদে ভাব  দূর হবে।
২) অর্ধেক চা-চামুচ বেকিং সোডা ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে আঙ্গুলের মাথা দিয়ে দাঁতে ঘষুন । এটি ভালো ফল দিবে ।
৩) স্ট্রবেরিও সাদা দাঁত পেতে বেশ উপকারী । একটি স্ট্রবেরি স্ম্যাশ করে অথবা দুই ভাগ করে কেটে নিয়েও দাঁতে ঘষতে পারেন।
৪) দাঁতের দাগ তুলতে লবণ ব্যবহার করুন । সবচেয়ে ভালো হয় আঙ্গুলের মাথায় লবণ নিয়ে দাঁতে ঘষলে।
৫) কলা খেয়ে কলার খোসা আমরা ফেলে দেই । কিন্তু আপনি কি জানেন , এটি আপনার দাঁত কে করে তুলতে পারে ঝকঝকে ? পাকা কলার খোসার ভিতরের দিকের অংশ দিয়ে দাঁত ঘষে দেখুন , পার্থক্য টা নিজেই বুঝতে পারবেন ।
৬) কমলার খোসার ভিতরের দিকও ব্যবহার করতে পারেন ।
৭) এছাড়াও, বিভিন্ন ক্রাঞ্চি ফল ও সবজি ( যেমন ,আপেল, গাজর , শশা, ইক্ষু ইত্যাদি ) খেলে দাঁতের দাগ দূর হবে ।
করনীয় ও কিছু তথ্যঃ
১) মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর অবশ্যই কুলি করুন ।
২) কফি , দুধ-চা না খেয়ে গ্রীন টি/হারবাল টি খাওয়া দাঁতের জন্য ভালো ।
৩) ক্যালসিয়াম মজবুত দাঁতের জন্য অনেক দরকারি এবং কালসিয়াম পেতে দরকার ভিটামিন ডি। এছাড়াও , ফসফরাস , ম্যাগনেসিয়াম , বিটা ক্যারোটিন , ভিটামিন এ , মিনারেল এনামেল গঠনের জন্য অতি প্রয়োজনীও । মাছ ,মাংস , ডিম , কলা , কমলা রঙের ফল , সবজি ও সবুজ রঙের শাক এ এসব উপাদান থাকে ।
৪) গ্যাস যুক্ত পানীয় কম খেতে হবে । কারণ এসব পানীয় এর এসিড দাঁতের এনামেল এর ক্ষতি করে এবং দাঁত দুর্বল ও হলদে করে । ডার্ক কালারের জুস (যেমন তরমুজ, পেঁপে, আমের জুস) এর পিগমেন্ট ও চিনি দাঁতের সাদা রঙ কেড়ে নেয় । তাই এসব পানীয় খেলে স্ট্র ব্যবহার করুন ।
৫) বিভিন্ন ধরনের ড্রাগস , সিগারেট শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, দাঁতের জন্য ও ক্ষতিকর । নিকোটিন দাঁতের প্রাকৃতিক রঙ কেড়ে নিয়ে দাঁত কালো করে ফেলে । ব্ল্যাক কফি, রেড ওয়াইন, পান-সুপারি খাওয়া, অতিরিক্ত চা পান , বরফ খাওয়া ইত্যাদি দাঁতের জন্য ক্ষতিকর ও দাঁতকে দুর্বল করে ।
৬) রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করুন ।
৭) কোনকিছুই যেমন অতিরিক্ত ভালো নয়, তেমনি প্রতিদিনই অতিরিক্ত বার (২ বারের বেশি ) দাঁত ব্রাশ করাও দাঁতের জন্য ভালো নয়। এতে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্থ হয় ।
Share:

সন্তানের দাঁতের ব্যাপারে বাবা-মা যে ভুলগুলো করে থাকেন

সন্তানের দাঁতের ব্যাপারে বাবা-মা যে ভুলগুলো করে থাকেন

পিতামাতাই চান তাদের সন্তান সুস্থ-সবল ও নিরাপদ থাকুক।শিশুর মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ছোটবেলা থেকেই অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়।আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এর মতে, ২ থেকে ১১ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে ৪২% এর দুধ দাঁতে ছিদ্র থাকে, ৬ থেকে ১১ বছরের ২১% বাচ্চার স্থায়ী দাঁতে ছিদ্র থাকে। অবাক করার মত বিষয় হল সন্তানের কিছু খারাপ অভ্যাস বিকশিত হওয়ার পেছনে বাবা-মা ই দায়ী থাকেন। বাবা মায়ের কিছু সাধারণ ভুলের কারণে শিশুর দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আপনিও কি এই ভুলগুলো করছেন?আসুন জেনে নেই সেই ভুল গুলো সম্মন্ধে।

১। শিশুকে একা একা ব্রাশ করতে দেয়া : ৮ বছরের কম বয়সের শিশুদের একা একা ব্রাশ করতে দেয়া ঠিক না। এই সময় তাদের সাহায্যের প্রয়োজন। এই বয়সে ভালো ভাবে দাঁত পরিস্কার করার মত দক্ষতা তাদের তৈরি হয় না। বাবা মায়ের উচিত দাঁত ব্রাশ করার সময় তাদের সাথে থেকে দেখিয়ে দেয়া যেন সব দাঁত ঠিক মত পরিষ্কার হয়।
২। শিশুকে ফিডার বা বোতল দিয়ে খাওয়ানো : শিশুকে শুয়ে শুয়ে বোতল দিয়ে খেতে দিলে তাঁর মুখে চিনি ও ব্যাকটেরিয়া লেভেল বেড়ে যায়, যা দাঁত ক্ষয় এর সৃষ্টি করতে পারে। একেবারে ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে ফিডার খাওয়া শেষে তার দাঁত ও মাড়ি ভেজা কাপড় দিয়ে মুছিয়ে দিন আর তার চেয়ে বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পান করার পর ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করে ভালো করে কুলি করাতে হবে।
৩। ক্যাভেটি কোন ব্যাপার না : আপনি হয়তো চিন্তা করছেন দাঁতে ছিদ্র হলে ঠিক করে ফেলা যায়, তাই এটা তেমন গুরুত্ব পূর্ণ কোন ব্যাপার না। কিন্তু এটা ভাবা ঠিক নয়, কারণ ছোট বেলায় ক্যাভিটি দেখা দিলে তাঁর সারা জীবনের উপর ই প্রভাব ফেলবে। দুধ দাঁত ভালো থাকা প্রয়োজন কারণ তাঁরাই স্থায়ী দাঁতের জন্য জায়গা তৈরি করে রাখে। দুধ দাঁত মাড়িকে গাইড করে যার ফলে স্থায়ী দাঁত তৈরি হতে পারে। Banker এর মতে ছোট বেলায় যদি দাঁতে ছিদ্র তৈরি হয় এবং এর চিকিৎসা যদি না করা হয় তাহলে বাচ্চার স্পষ্ট ভাবে কথা বলতে সমস্যা হতে পারে, ঘুম কমে যেতে পারে এমনকি তার আত্মবিশ্বাস কমে যেয়ে স্কুলের পারফরমেন্স খারাপ হতে পারে।
৪। ফ্লোরাইড ব্যবহার না করা : ফ্লোরাইড দাঁতের ছিদ্র হওয়া রোধ করে। তাই ২ বছর বয়স থেকেই ফ্লোরাইড যুক্ত পানি ও টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে।
৫। ড্রিঙ্ক খেতে দেয়া : দাঁতের ক্ষয়ের একটি প্রধান কারণ হচ্ছে বিভিন্ন ড্রিঙ্কস খাওয়া। বাসায় বা খেলাধুলা করার সময় অনেকেই বাচ্চাকে ড্রিঙ্কস খেতে দেন এটা ঠিক নয়। বাচ্চাকে বুঝাতে হবে এবং আস্তে আস্তে খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এর শেষ বর্ষের ছাত্রী ফারহানা দিলশাদ সুকি জানিয়েছেন যে, ১০ বছর বয়সের নিচের বাচ্চাদের কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৬।স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো : স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার ( কলা, ক্রেকার ইত্যাদি) আছে যারা দাঁতের ছিদ্র তৈরি করার ক্ষেত্রে বড় ভুমিকা রাখে। এই খাবার গুলো আঠাল ও চিনি সমৃদ্ধ । এগুলো খাওয়ার পরে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকে যা ক্যাভেটি সৃষ্টি করে।
৭। ডেন্টিস্ট এর কাছে নিতে দেরি করা : শিশুর প্রথম দাঁত উঠার পরপর বা তাঁর প্রথম জন্মদিনে ডেন্টিস্ট এর কাছে নিয়ে যেতে পারেন। দুধ দাঁতই স্থায়ী দাঁতের জন্য জায়গা তৈরি করে দেয়, তাই দুধ দাঁতের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। ৬ মাস পর পর বা বছরে ১ বার আপনার বাচ্চাকে ডেন্টিস্ট এর কাছে নিয়ে যান এবং দাঁতের প্লাক/ ময়লা পরিষ্কার করিয়ে নিন যা ব্রাশ করার মাধ্যমে যায় না।
Share:

শিশুদের দাঁতের যত্ন

শিশুদের দাঁতের যত্ন

মানুষের সারা জীবনে দাঁত দু'বার উঠে। প্রথমত আপনার বাচ্চার ৬ মাস বয়স থেকে ২-২.৫ বছরের মধ্যে যে দাঁতগুলো উঠে সেগুলোকে দুধ দাঁত বলে। উপরের ও নিচের পাটি মিলিয়ে মোট দুধ দাঁতের সংখ্যা থাকে ২০ টি। আর দুধ দাঁত পড়ে গিয়ে আমাদের মুখে যে দাঁতগুলো আসে সেগুলো হল স্থায়ী দাঁত। দুধ দাঁত পড়ে গিয়ে স্থায়ী দাঁত উঠে বলে প্রায়ই আমরা দুধ দাঁত নিয়ে অবহেলা করি, আর ঠিকমত যত্ন নিই না। কিন্তু আমাদের অবশ্যই দুধ দাঁতগুলোর প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।

কেননা সুস্থ দাঁত দিয়ে বাচ্চারা তাদের খাবার ঠিকমত চিবিয়ে খাবে যা তার পরিপূর্ণ পুষ্টি বহন করবে। এটা আপনার শিশুর মুখের ভাষা তৈরিতে (Speech Development) সাহায্য করবে এবং স্থায়ী দাঁতের জন্য জায়গা সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে একটি সুস্থ সবল স্থায়ী দাঁত উপহার দিবে। সর্বোপরি সুস্থ সবল দাঁত ও সুস্থ সবল হাসি আপনার বাচ্চাকে প্রফুল্ল রাখবে। সুতরাং আমাদেরকে অবশ্যই শিশুদের দুধ দাঁতের প্রতি সঠিক সংরক্ষণ ও যত্ন নিতে হবে।

প্রথমত, শিশুর যখন প্রথম দাঁত উঠে তখন থেকেই তার দাঁত পরিষ্কার শুরু করতে হবে। শিশুর প্রথম দাঁত পরিষ্কার নরম পাতলা কাপড় দিয়ে বা বাচ্চাদের টুথ ব্রাশ (বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দাঁতের ব্রাশ বাজারে পাওয়া যায়) দিয়ে দিনে কমপক্ষে একবার (দুইবার করলে ভালো) করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত পরিষ্কার করার অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে।

যখন শিশুর বেশির ভাগ দাঁতই চলে আসবে (২-২.৫ বছর বয়সে) তখন থেকে ব্রাশে সামান্য ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট নিয়ে ব্রাশ করা শুরু করতে পারে। ফ্লোরাইড দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। উন্নত দেশে সাধারণত পানির সাপ্লাইয়ের সাথেই ফ্লোরাইড মিশিয়ে দেয়া হয় কিন্তু আমাদের দেশে এ ধরনের কোন ব্যবস্থা নেই বলে অবশ্যই একজন ভাল ডেন্টিস্টের সাথে পরামর্শ করে ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে হবে।

ফ্লোরাইড টুথপেস্ট খুব সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে এবং শিশু যেন পেস্ট গিলে না ফেলে এজন্য প্রথম থেকেই তাকে থুথু ফেলে দেয়ার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। ২-৩ বছরের পর থেকে দিনে একবার ফ্লসিং করতে হবে। এতে দুই দাঁতের মাঝখানের ময়লা সহজেই পরিষ্কার হবে যা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা যায় না। ডেন্টাল ফ্লস এক ধরনের সুতা যা দিয়ে দুই দাঁতের মাঝখানটা ভাল করে পরিষ্কার করা যায়।
দাঁতের ক্ষয়রোধের জন্য অবশ্যই শিশুর খাবারের প্রতি নজর দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন শিশুর খাদ্য তালিকায় চিনি জাতীয় খাবার কম থাকে বা চিনি জাতীয় খাবার বেশি খেলে শিশু যেন অবশ্যই সাথে সাথে মুখ কুলকুচি করে ফেলে।

শিশুকে চকোলেট বা ক্যান্ডি থেকে টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল খাবার প্রতি উৎসাহিত করে তুলতে হবে। শিশুকে ফিডার বা বোতল ফিডিং করালে দীর্ঘক্ষণ যেন ফিডার (চিনিযুক্ত জুস বা দুধ) শিশুর মুখে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চিনিযুক্ত জুস বা দুধ খাওয়ার পর তাকে ফিডারে পানি দেয়া যেতে পারে। তাই শিশুকে তার প্রথম দাঁত উঠা শুরু হওয়ার সময় ডেন্টিস্টের কাছে নিতে হবে এবং চেকআপ পরবর্তী উপদেশ মেনে চলতে হবে।

শিশুর দাঁতের মধ্যে যদি কোন গর্ত বা কালো দাগ হয় বা মাড়ি ফুলে যায়, তাহলে শুধু দাঁত ব্রাশ বা ফ্লসিং শিশুর দাঁত ব্যথা কমাতে পারবে না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই শিশুকে একজন ডেন্টিস্টের কাছে নিয়ে যেতে হবে। শিশুর যদি বৃদ্ধাঙ্গুলি চুষার অভ্যাস থাকে তাহলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর (সাধারণত তার সামনের কর্তন দাঁত ওঠার পর) তাকে অভিজ্ঞ ডেন্টিস্টের কাছে নিয়ে যেতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পদ্ধতি শিশুকে আয়ত্ত করাতে হবে। সর্বোপরি সঠিক পদ্ধতি মেনে চলে দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস করতে হবে। দীর্ঘ সময় ফিডারে খাবার অভ্যাস বাদ দিতে হবে এবং নিয়মিত ডেন্টাল সার্জন দ্বারা চেকআপ করে শিশুদেরকে দাঁতের মারাত্মক রোগগুলো থেকে রক্ষা করতে হবে।
Share:

দাঁতের হলদে ভাব দূর করার উপায়

দাঁতের হলদে ভাব দূর করার উপায়

আমরা প্রতিদিন যেসকল খাবার খাই তার মাধ্যমে দাঁতে দাগ ও হলদেটে ভাব আসা খুবই স্বাভাবিক। হলদেটে দাঁত একটু বিব্রতকরই বটে। কিন্তু এই হলদেটে দাঁত নিয়ে তো সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব নয়। দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই । এই সমস্যা থেকে আপনাকে রক্ষা করবে ফেলনা কলার খোসা। চলুন তাহলে জেনে নিই কীভাবে।
মূলত কলার খোসায় থাকা পটাশিয়াম, ম্যাংগানিজ ও ম্যাগনেসিয়াম দাঁত সাদা করতে সহায়তা করে। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাবেন। যাদের দাঁত অনেক বেশি হলুদ তাদের একটু বেশি সময় লাগতে পারে।
কলা খেয়ে সাধারণত আমরা খোসা ফেলেই দিয়ে থাকি। কিন্তু আজ থেকে ফেলে দেবেন না। এই কলার খোসাই আপনার হলদেটে দাঁতে নতুন চমক নিয়ে আসতে পারে নিমেষেই। তবে কলা এমনভাবে বেছে নিন যেনো খুব পাকা না থাকে আবার কাঁচাও না হয়। একটু সবুজাভাব কলার খোসা এই কাজটির জন্য পারফেক্ট।
প্রথমেই কলা খেয়ে কলার খোসার কিছুটা অংশ চারকোণা করে কেটে নিন এবং বাকি অংশ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। এবার কলার খোসা দিয়ে দাঁতের উপরের পাটি ১ মিনিট এবং নিচের পাটি ১ মিনিট মোট ২ মিনিট ভালো করে ঘষে নিন। এরপর কুলি করে নিয়ে নিজের টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে নিন। এবার দেখুন ম্যাজিক। আগের থেকে অনেক বেশি সাদা দেখাবে দাঁত।
এছারা, এই পদ্ধতি নিয়মিত ব্যবহার করবেন না। এতে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ কিছু সময়ে ব্যবহার করুন।
Share:

দাঁতের যত্ন ঠিক মতো করছেন তো? জেনে নিন ডেন্টিস্ট কী বলেন

দাঁতের যত্ন ঠিক মতো করছেন তো? জেনে নিন ডেন্টিস্ট কী বলেন

আমরা কেউই দাঁতের মর্ম বুঝি না যতক্ষণ না পর্যন্ত অনেক বড় কোনো ক্ষতি হচ্ছে। একটি ক্ষতি হয়ে যাওয়ার পর তা নিয়ে আফসোস করতে থাকি। দাঁতের যত্নে আমরা যা করি তা কি আসলেই আমাদের দাঁতের জন্য ভালো? আমরা যা করছি তা কি সঠিক হচ্ছে কিনা তাও আমরা অনেকেই জানি না। এছাড়াও এমন সব বিষয় করে থাকি এবং মেনে থাকি তা বরং দাঁতের উলটো ক্ষতি করে থাকে। আপনি ঠিক জিনিসটি জানেন তো? যদি না জেনে থাকেন তাহলে চলুন দাঁত সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে নেয়া যাক ডেন্টিস্টের কাছ থেকেই। বুঝে নিন আপনি দাঁতের সঠিক পরিচর্যা করছেন কি না, দাঁত সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা আছে কি না।

১) দাঁতের ক্ষতির মূল কারণ শুধু চিনি নয়

আমাদের ধারণা চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার বেশী খাওয়ার পরই দাঁতের ক্ষতি হয়। যে কারণে ছোটদের নানা মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে বঞ্চিত করা হয়, দাঁতের নানা সমস্যার কারণে আমরা মূলত চিনিটাকেই দায়ী করে থাকি। কিন্তু ডেন্টিস্ট শারমিন সৈয়দ জানান,’ চিনি মূলত দাঁতের ক্ষতির জন্য দায়ী নয়, চিনি শুধুমাত্র আমাদের মুখের ভেতরে এক প্রকার ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয় যার ফলে ক্ষতি হয় দাঁতের। এবং এই ধরণের ব্যাকটেরিয়া শুধু চিনি নয় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার পরও হতে পারে’।

২) ফ্লসিংয়ের প্রয়োজনীয়তা

ডেন্টিস্ট শারমিন জানান, ‘আমাদের দেশের অনেক মানুষই ফ্লসিংয়ের ব্যাপারে একেবারেই নজর দেন না। অনেকেই ভাবেন ফ্লসিং তেমন জরুরী কিছুই নয়। কিন্তু ফ্লসিং শুধুমাত্র খাদ্যকনা দূর করে না। দাঁত ফ্লস করার মাধ্যমে দাঁতের ফাঁক থেকে জমে থাকা প্লাক দূর করা সম্ভব হয় যা ব্রাশের মাধ্যমে করা সম্ভব হয় না। কেউ যদি ভাবেন ফ্লসিং ছাড়াই দাঁতের সুরক্ষা করতে পারবেন তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন’। সুতরাং ফ্লসিং করার কথা ভুলে যাবেন না একেবারেই।

২) সোডা বা সফট ড্রিংকস এবং দাঁতের ক্ষতি

দাঁতের অনেক যত্ন নেন ঠিকই কিন্তু গরম লাগ্লেই পানির পরিবর্তে হাত বাড়ান সোডা বা সফট ড্রিংকসের দিকে? তাহলে জেনে রাখুন আপনার দাঁতের যত্ন একেবারেই হচ্ছে না। কারণ সফট ড্রিংকসের অ্যাসিডের মাত্রা মুখের ভেতরের পিএইচ এর মাত্রার তারতম্য ঘটায় যার ফলে দাঁতের উপরের এনামেল নরম হয় ক্ষয়ে যেতে থাকে। তাই দাঁতের জন্য এইসব পানীয় পান বন্ধ করুন।

৪) দাঁত সাদা করার প্রক্রিয়া

ডেন্টিস্ট শারমিন বলেন, ‘আমার কাছে এমন অনেক রোগীই আসেন যারা দাঁত সাদা করতে চান এবং তার জন্য নানা ধরণের টুথ হোয়াটেনিং ব্যবহার করেছেন। অনেকেই আবার ঘরোয়া বিষয়গুলোও ব্যবহার করেন, কিন্তু একজন ডেন্টিস্ট হিসেবে আমার পরামর্শ এইধরনের কাজ না করে দাঁত সাদা করার ব্যাপারে অবশ্যই ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ দাঁত সাদা করতে গিয়ে দাঁতের এনামেলের এমন ক্ষতি করেন অনেকেই যা পূরণ করা সম্ভব হয় না অধিকাংশ সময়ে’। সুরতাং যদি নিজের দাঁত পছন্দ করেন এবং নিজের হাসিটাকেও পছন্দ করেন তাহলে দাঁত সাদা করার প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে পরামর্শ নিন।
Share:

দাঁতের সঠিক যত্ন নেবেন কিভাবে

দাঁতের সঠিক যত্ন নেবেন কিভাবে

হাসতে নাকি জানে না কেউ কে বলেছে ভাই, এই দেখনা কত হাসির খবর বলে যাই। মনের অজান্তেই মনে পড়ে গেলো ছোট্ট বেলার কবিতা। তবে এই হাসির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে আমাদের দাঁত। যার দাঁত সুন্দর তার হাসিও সুন্দর। তাছাড়া এই দাঁতের সাহায্যেই আমরা প্রতিদিন খাবার খেয়ে থাকি। তাই সুন্দর এবং মজবুত দাঁতের জন্য চাই দাঁতের সঠিক যত্ন। দাঁতের যত্ন নিতে সঠিক স্বাস্থ্য অভ্যাস গড়ে তোলা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।এখন জেনে নেয়া যাক কিভাবে আমরা সঠিক নিয়মে দাঁতের যত্ন নিব –
০১.নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুনঃ
প্রতিদিন অন্তত ২ বার ভালো ভাবে আপনার দাঁত ব্রাশ করুন এবং প্রতিবার দুই মিনিট করে সময় নিবেন।এমন ভাবে ব্রাশ করতে হবে যেন আপনার ব্রাশ দাঁতের সব দিকে পৌঁছায় এবং আপনার জিহবাকেও যেন স্পর্শ করে।দাঁত ব্রাশ করার সময় প্রথম দুই মিনিট একটি শুষ্ক ব্রাশে শুধু পানি ব্যবহার করে আপনার দাঁত ব্রাশ করুন। এটায় কোন টুথপেষ্ট থাকবে না।খেয়াল রাখবেন যেন মাড়ির নিচে আপনার দাঁতের সাথে লেগে থাকা biofilm(হলদেটে প্লাক) পরিষ্কার হয়। GUM লাইনের নিচে ব্রাশ সহজে বাঁকানো এবং সরানোর জন্য একটু সময় নিন, কারণ এটা পরিষ্কার করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই মিনিট পর টুথপেস্ট লাগানো যেতে পারে।আপনি এতে ফ্লোরাইডের সুবিধা পাবেন, দাগ দূর করতে পারবেন।আপনার দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।
দিনের বেলায় দাঁত ব্রাশ করার কারণে প্লাক উপজাত এবং বিষক্রিয়া জনিত মাথাব্যথার ক্ষতি হ্রাস করা সম্ভব।তাই যদি পারেন দুপুরেও খাওয়ার পর একবার দাঁত ব্রাশ করে নিন। আপনি এ বিষয়ে পরিষ্কার জানার জন্য আপনার ডেন্টিস্টকে অনুরোধ করতে পারেন।
রাতে ঘুমানোর viagrapill সময় আমাদের মুখ দিনের মতো লালা সুরক্ষা করে না।তাই রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে এক বার দাঁত ব্রাশ করা ভালো।এতে আপনি সকাল পর্যন্ত নিশ্চিন্ত ও সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।
০২. দৈনিক দাঁতে Floss এবং জিহবার স্ক্র্যাপার ব্যবহার করুনঃ
যে কোন খাবার খাওয়ার পর তা আপনার দাঁতের মধ্যে আঁটকে যায় (যেমনঃ মাংস, ভূট্টা, caramel, চিনাবাদাম, মাখন, ইত্যাদি)। তাই দৈনিক আপনার দাঁতে Floss ব্যবহার করুন। Floss ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার দাঁতের অন্য পাশকেও পরিষ্কার করতে পারবেন যেখানে আপনার টুথব্রাশ পৌঁছোতে পারে না।
স্বাস্থ্যবিধির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে জিহবার স্ক্র্যাপার।নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ এবং জিহবার প্লাক দূর করার জন্য এটি ব্যবহার করুন।আপনার টুথব্রাশ ব্যবহার করেও জিহবা পরিষ্কার করতে পারেন।
০৩. মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করুনঃ
আপনার ডেন্টিস্টের সাহায্যে একটি ভালো ফ্লোরাইড মাউথ ওয়াশ খুঁজে বের করুন। ফ্লোরাইড মাউথ ওয়াশ দাঁত জোরদার করতে সাহায্য করে।৬ থেকে ১২ বছর বয়সের মধ্যে শিশুদের মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা শেখানো ভালো।তবে ব্যবহারের আগে বোতলের সাথে থাকা নির্দেশনা দেখে নিবেন।
০৪. বিজ্ঞতার সঙ্গে আপনার খাবার বেঁছে নিনঃ
snack জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কারন ক্রমাগত snacking আপনার দাঁতে প্লাক তৈরি করতে পারে, যা ধীরে ধীরে cavities বা ছোট ছোট ছিদ্র হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।চিনিযুক্ত এবং স্টিকি খাবার এড়িয়ে চলুন। চিনি, আমাদের মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া জমায়, যা দাঁতের ভাঙ্গন সৃষ্টি করে।তাই এ জাতীয় খাবার খাওয়ার পর সাথে সাথে প্রচুর পানি বা পানীয় পান করবেন।মনে রাখবেন যে, ফলের রসে প্রচুর এসিড ও প্রাকৃতিক চিনি থাকে। তাই ন্যূনতম ফলের রস পান করুন।শুধুমাত্র খাবার-সময়ে অথবা যখন প্রচুর খাবার খাওয়া হয় তখন ফলের রস পান করতে পারেন।বীজ জাতীয় খাবার এবং শক্ত হাড় কম চিবোনোর চেষ্টা করুন। কারণ এটি আপনার দাঁতের molars এর মধ্যে ফাঁটল তৈরি করতে পারে।
০৫. ডেন্টিস্ট এর কাছে যানঃ
অন্তত প্রতি ছয় মাস পর পর আপনার ডেন্টিস্ট এর কাছে যান এবং আপনার দাঁতের কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে আপনার ডেন্টিস্টকে জানান।বছরে একবার একজন পেশাদারী রেজিস্টার্ড ডেন্টাল hygienist এর কাছ থেকে দাঁত পরিস্কার করুন।সবসময় খেয়াল করবেন যে কোন cavities বা মাড়ির রোগের লক্ষণ দেখা যায় কিনা।ব্রাশ এবং floss ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আপনার দাঁতের ডাক্তার এবং দাঁতের hygienist এর কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।
টিপসঃ
• আপনার টুথব্রাশ প্রতি তিন মাস পর পর বদলান।
• প্রতিদিন দুধ পান করার চেষ্টা করুন, এটি আপনার ক্যালসিয়াম বাড়ায়। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে।
• টুথব্রাশ এমন হতে হবে যেন সহজেই তা gumline এর দিকে বাঁকানো যায়।একটি ছোট বৃত্তাকার গতিতে আপনার দাঁতের ভেতরে,বাইরে,উপরে এবং GUM লাইনের নিচে ব্রাশ করুন। কোমল পানীয় পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং চিনিযুক্ত খাবার আপনার দাঁত থেকে দূরে রাখুন।
• খুব শক্ত ব্রাশ আপনার মাড়িতে আঘাত করে রক্ত ঝড়াতে পারে আর খুব নরম ব্রাশ প্লাক দূর করতে পারে না। তাই মাঝারি ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করুন।
• যখন আপনার সামনের দাঁতের ভেতর পাশ ব্রাশ করবেন, প্রথমে টুথব্রাশ কে আপনার দাঁতের ডান পাশের উপর রাখুন।এরপর ব্রাশ নিচে এবং উপরের দিকে সরিয়ে প্রতিটি দাঁত ব্রাশ করবেন ।এই পদ্ধতি প্রতিটি দাঁতের জন্য বেশ কয়েকবার করে করুন।
• দাঁত ব্রাশ করার পরে মুখে মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।
• আপনার জিহবা ব্রাশ করতে ভুলবেন না, সেই সাথে আপনার মুখের উপরের তালু।
ব্যাকটেরিয়া আমাদের একটা অংশ, এটা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।প্রত্যেকের মুখেই লক্ষ লক্ষ ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, যার কোন উদ্দেশ্য নেই।এটি দাঁতের পৃষ্ঠের চারপাশে নিজেদের স্থান করে নেয় এবং আমাদের দাঁতে “প্লাক” সৃষ্টি করে অদৃশ্য ভাবে আমাদের দাঁত ক্ষয় করতে থাকে। এটা খুব স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং দ্রুত ঘটে।সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার জিহবা আপনার দাঁতের উপর চালালেই এই অনুভূতি অনুভব করতে পারবেন। তাই অবহেলা না করে সঠিক ভাবে দাঁতের যত্ন নিন।
Share:

Popular Posts

Blog Archive

Powered by Blogger.

Blog Archive

Unordered List

  • Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit.
  • Aliquam tincidunt mauris eu risus.
  • Vestibulum auctor dapibus neque.

Theme Support

Need our help to upload or customize this blogger template? Contact me with details about the theme customization you need.