কেশরাজ গাছের গুণাগুণ
অত্যন্ত উপকারী একটা ঔষধি ঘাস ফুলের গাছ কেশরাজ। এই গাছ থেকে কালো একধরনের রং বের করা হয়, যা চুল কে আরো কালো করতে সাহায্য করে। এছাড়া এই গাছের রস চুল পড়াবন্ধ করে। এই কেশরাজ গাছকে অনেকে আবার কেসুতি, কালো কেশী, প্রভৃতি নামে চেনে। আমাদের দেশে অনেকেই আছে কেশরাজ উদ্ভিদটি চেনে না।কেশরাজ বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর শাখা লতানো। এর শাখা থেকে প্রশাখা বের হয়। শাখা বা প্রশাখা বের হয় বিপরীতভাবে। লম্বায় ৫০ থেকে ৬০ সে.মি. কালচে, রসে ভারী। শাখা প্রশাখা এতটাই ভারী যে সেগুলো নিচের দিকে হেলানো থাকে। শাখা-প্রশাখার মত পাতাও বিপরীতভবে/একান্তরভাবে বের হয়। কেশরাজের পাতা খুবই ছোট। গাঢ় সবুজ রঙের। লম্বায় ৪ থেকে ৫সে.মি, চিকন। পাতার কোল থেকে প্রশাখা বের হয়। এই প্রশাখার শেষ প্রান্তে ২/৩ টি ফুল ফোটে। কেশরাজের ফুল সাদা রঙের। অনেকগুলো সাদা সাদা রঙের পরাগনালী। ফল গাঢ় সবুজ। প্লটের মতো। ফলের ভেতর অতি ক্ষুদ্র বীজ। বীজের খোসা শুকোনো মাটির মতো। এই ফল ফেটে বীজ পড়ে মাটিতে এমনিতেই চারা গজায়।
উপকারিতা
কেশরাজ উদ্ভিদের উপকারিতা হিসাবে পাতা, কাণ্ড, ফুল ও ফল ব্যবহার করা হয়। এই উদ্ভিদে এ্যালকোলয়েড স্টেরল, ইউডে লোল্যাকটোন, লিউটেইওলিন, গ্লাইকোসাইড, ট্রিটারপেন, গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটেস্টেরল বিদ্যমান।
১. উদ্ভিদটি জাল দিয়ে নির্যাস তৈরী করে মায়োকার্ডিয়াল ডিপ্রেস্যান্ট ও হাইপোটেনসিভ এবং কয়েকটি পাতা বেটে খেলে কৃমি ও কাশি কম হয়।
২. পাতা, ফুল ও ফলসহ বেটে রস তৈরী করে নিয়মিত কিছুদিন মাথায় দিলে মাথা ঠাণ্ডা হবে, চুল পড়া বন্ধ হবে, চুল লম্বা ও কালো হবে। প্রতিদিন রস সংগ্রহ করা না গেলে এক কাপ রস তৈরী করে ২৫০ মিলিলিটার তিল তেল বা নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যাবে।
৩. শরীরের কেটে যাওয়া স্থানে কেশরাজের পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে কাটা স্থানের ক্ষত শুকিয়ে যায়।
কেশরাজকে ভেষজ উদ্ভিদ বলা যায়। চুলের জন্য বেশি উপকারি বলে একে কেশরাজ বলা হয়।
No comments:
Post a Comment