অতি প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস থেকে দূরে রাখুন মুখের ত্বক

অতি প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস থেকে দূরে রাখুন মুখের ত্বক

আমরা সবাই চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য অনেক কিছুই করে থাকি। সঠিক ভাবে রূপচর্চা করলে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু যদি আপনি না জেনে কিছু কিছু জিনিস মুখের ত্বকে ব্যবহার করে থাকেন তখন কিন্তু আপনাকে পস্তাতেই হবে। তাই আজ জেনে রাখুন যে জিনিসগুলোকে আপনার মুখের ত্বক থেকে দূরে রাখবেন অবশ্যই।
১) বডি লোশন
আমরা অনেকেই বডি লোশন আমাদের মুখের ত্বকেও ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু বডি লোশন দেহের ত্বকের জন্য তৈরি করা হয় তাই এটি খুব ভারী হয় ও খুব সুগন্ধিযুক্ত হয়। তাই আপনার মুখের ত্বকের জন্য ব্যবহার করুন গন্ধহীন ও আরও ভাল কোন ক্রিম।
২) হেয়ার স্প্রে
অনেকেই মনে করে থাকেন যে হেয়ার স্প্রে দিয়ে যেহেতু চুল ঠিক রাখা যায় তাহলে হয়তো মেক-আপ করার পর, মেক-আপ যেন বেশিক্ষণ থাকে ও না ঘেমে যায় তার জন্য একটু হেয়ার স্প্রে মুখে দিয়ে দেই। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ হেয়ার স্প্রেতে আছে ‘লেকিউরস ও এলকোহল’ উপাদান যা ত্বকের জন্য খুব খারাপ।
৩) হেয়ার কালার
অনেকেই আছেন কিছুদিন পর পর চুলের রঙ পাল্টে থাকে। তাই মনে করেন যে চুলের রঙের সাথে যদি আইব্রো এর রঙ মিলে যায় তাহলে হয়তো ভাল দেখাবে। কিন্তু চুল কালার করার উপাদানে যে কেমিক্যাল গুলো থাকে তা আমাদের মুখের ত্বকের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই চুলের পাশাপাশি আইব্রো কালার করবেন না।
৪) ডিওড্রেন্ট
ডিওড্রন্ট এর কাজ হল আমাদের বগোলের ঘাম থেকে ও ঘামের দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা করা। তার মানে এই না যে ডিওড্রেন্ট আপনার মুখের ঘামও দূর করবে। তাই এই ভুল কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
৫)শ্যাম্পু
শ্যাম্পু করার সময় মুখে শ্যাম্পুর ফেনা গড়িয়ে আসে সবারই কিন্তু অনেকেই আছেন মনে করেন যে শ্যাম্পুর ফেনা যখন গড়িয়ে এসেছে তাহলে সেই ফেনা দিয়েই মুখ ধুয়ে ফেলি। কিন্তু আপনার এই ধারণাটি মোটেও ঠিক নয় এবং এই কাজটির কারণে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
৬) হেয়ার সিরাম
অনেকেই হেয়ার সিরাম ব্যবহার করে থাকেন। আর হেয়ার সিরামের কাজ হল চুল নরম রাখা, চুলের জটা না বাঁধা, চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা। তাই বলে যে চুলের সাথে সাথে আপনার মুখের ত্বক-কেও হেয়ার সিরাম নরম রাখবে এই ধারণাটি ভুল। চুলে ব্যবহার করার উপাদান ও মুখে ব্যবহার করার উপাদান কখনোই একরকম হয়না।
৭) নেইলপলিশ
নেইলপলিশের কাজ হল আমাদের নখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা। কিন্তু আমরা অনেকেই আছি কপালে টিপ দেয়ার জন্য কিংবা কোন ছোট মেয়ে বাচ্চাকে সাজানোর জন্য নেইলপলিশ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু নেইলপলিশে যে উপাদানগুলো থাকে তা অবশ্যই আমাদের মুখের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
Share:

সুস্থ দাঁতের কিছু টিপস

সুস্থ দাঁতের কিছু টিপস

“তোমার হাসি অনেক সুন্দর “…… এমন প্রশংসা পেতে কার না ভালো লাগে ? কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা প্রাণ খুলে হাসার মত কনফিডেন্স পান না । কারণ একটাই , দাঁত সাদা ও সুন্দর না হওয়া । সুন্দর দাঁত পেতে যে অনেক বেশি খরচ করতে হবে এমন ধারনাও ঠিক নয় । তাই কিছু সাশ্রয়ী , সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়ে সুন্দর, সাদা দাঁত এবং সেই সাথে নজরকাড়া হাসি পেতে রইল কিছু টিপস্‌ –
১) একটি লেবু দুই ভাগ করে কেটে , একটি কাটা অংশ দিয়ে দাঁত ঘষুন । এমন ভাবে প্রয়োগ করুন যাতে লেবু থেকে রস বের হয়। এভাবে আপনার দাঁতের হলদে ভাব  দূর হবে।
২) অর্ধেক চা-চামুচ বেকিং সোডা ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে আঙ্গুলের মাথা দিয়ে দাঁতে ঘষুন । এটি ভালো ফল দিবে ।
৩) স্ট্রবেরিও সাদা দাঁত পেতে বেশ উপকারী । একটি স্ট্রবেরি স্ম্যাশ করে অথবা দুই ভাগ করে কেটে নিয়েও দাঁতে ঘষতে পারেন।
৪) দাঁতের দাগ তুলতে লবণ ব্যবহার করুন । সবচেয়ে ভালো হয় আঙ্গুলের মাথায় লবণ নিয়ে দাঁতে ঘষলে।
৫) কলা খেয়ে কলার খোসা আমরা ফেলে দেই । কিন্তু আপনি কি জানেন , এটি আপনার দাঁত কে করে তুলতে পারে ঝকঝকে ? পাকা কলার খোসার ভিতরের দিকের অংশ দিয়ে দাঁত ঘষে দেখুন , পার্থক্য টা নিজেই বুঝতে পারবেন ।
৬) কমলার খোসার ভিতরের দিকও ব্যবহার করতে পারেন ।
৭) এছাড়াও, বিভিন্ন ক্রাঞ্চি ফল ও সবজি ( যেমন ,আপেল, গাজর , শশা, ইক্ষু ইত্যাদি ) খেলে দাঁতের দাগ দূর হবে ।
করনীয় ও কিছু তথ্যঃ
১) মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর অবশ্যই কুলি করুন ।
২) কফি , দুধ-চা না খেয়ে গ্রীন টি/হারবাল টি খাওয়া দাঁতের জন্য ভালো ।
৩) ক্যালসিয়াম মজবুত দাঁতের জন্য অনেক দরকারি এবং কালসিয়াম পেতে দরকার ভিটামিন ডি। এছাড়াও , ফসফরাস , ম্যাগনেসিয়াম , বিটা ক্যারোটিন , ভিটামিন এ , মিনারেল এনামেল গঠনের জন্য অতি প্রয়োজনীও । মাছ ,মাংস , ডিম , কলা , কমলা রঙের ফল , সবজি ও সবুজ রঙের শাক এ এসব উপাদান থাকে ।
৪) গ্যাস যুক্ত পানীয় কম খেতে হবে । কারণ এসব পানীয় এর এসিড দাঁতের এনামেল এর ক্ষতি করে এবং দাঁত দুর্বল ও হলদে করে । ডার্ক কালারের জুস (যেমন তরমুজ, পেঁপে, আমের জুস) এর পিগমেন্ট ও চিনি দাঁতের সাদা রঙ কেড়ে নেয় । তাই এসব পানীয় খেলে স্ট্র ব্যবহার করুন ।
৫) বিভিন্ন ধরনের ড্রাগস , সিগারেট শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, দাঁতের জন্য ও ক্ষতিকর । নিকোটিন দাঁতের প্রাকৃতিক রঙ কেড়ে নিয়ে দাঁত কালো করে ফেলে । ব্ল্যাক কফি, রেড ওয়াইন, পান-সুপারি খাওয়া, অতিরিক্ত চা পান , বরফ খাওয়া ইত্যাদি দাঁতের জন্য ক্ষতিকর ও দাঁতকে দুর্বল করে ।
৬) রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করুন ।
৭) কোনকিছুই যেমন অতিরিক্ত ভালো নয়, তেমনি প্রতিদিনই অতিরিক্ত বার (২ বারের বেশি ) দাঁত ব্রাশ করাও দাঁতের জন্য ভালো নয়। এতে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্থ হয় ।
Share:

সন্তানের দাঁতের ব্যাপারে বাবা-মা যে ভুলগুলো করে থাকেন

সন্তানের দাঁতের ব্যাপারে বাবা-মা যে ভুলগুলো করে থাকেন

পিতামাতাই চান তাদের সন্তান সুস্থ-সবল ও নিরাপদ থাকুক।শিশুর মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ছোটবেলা থেকেই অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়।আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এর মতে, ২ থেকে ১১ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে ৪২% এর দুধ দাঁতে ছিদ্র থাকে, ৬ থেকে ১১ বছরের ২১% বাচ্চার স্থায়ী দাঁতে ছিদ্র থাকে। অবাক করার মত বিষয় হল সন্তানের কিছু খারাপ অভ্যাস বিকশিত হওয়ার পেছনে বাবা-মা ই দায়ী থাকেন। বাবা মায়ের কিছু সাধারণ ভুলের কারণে শিশুর দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আপনিও কি এই ভুলগুলো করছেন?আসুন জেনে নেই সেই ভুল গুলো সম্মন্ধে।

১। শিশুকে একা একা ব্রাশ করতে দেয়া : ৮ বছরের কম বয়সের শিশুদের একা একা ব্রাশ করতে দেয়া ঠিক না। এই সময় তাদের সাহায্যের প্রয়োজন। এই বয়সে ভালো ভাবে দাঁত পরিস্কার করার মত দক্ষতা তাদের তৈরি হয় না। বাবা মায়ের উচিত দাঁত ব্রাশ করার সময় তাদের সাথে থেকে দেখিয়ে দেয়া যেন সব দাঁত ঠিক মত পরিষ্কার হয়।
২। শিশুকে ফিডার বা বোতল দিয়ে খাওয়ানো : শিশুকে শুয়ে শুয়ে বোতল দিয়ে খেতে দিলে তাঁর মুখে চিনি ও ব্যাকটেরিয়া লেভেল বেড়ে যায়, যা দাঁত ক্ষয় এর সৃষ্টি করতে পারে। একেবারে ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে ফিডার খাওয়া শেষে তার দাঁত ও মাড়ি ভেজা কাপড় দিয়ে মুছিয়ে দিন আর তার চেয়ে বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পান করার পর ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করে ভালো করে কুলি করাতে হবে।
৩। ক্যাভেটি কোন ব্যাপার না : আপনি হয়তো চিন্তা করছেন দাঁতে ছিদ্র হলে ঠিক করে ফেলা যায়, তাই এটা তেমন গুরুত্ব পূর্ণ কোন ব্যাপার না। কিন্তু এটা ভাবা ঠিক নয়, কারণ ছোট বেলায় ক্যাভিটি দেখা দিলে তাঁর সারা জীবনের উপর ই প্রভাব ফেলবে। দুধ দাঁত ভালো থাকা প্রয়োজন কারণ তাঁরাই স্থায়ী দাঁতের জন্য জায়গা তৈরি করে রাখে। দুধ দাঁত মাড়িকে গাইড করে যার ফলে স্থায়ী দাঁত তৈরি হতে পারে। Banker এর মতে ছোট বেলায় যদি দাঁতে ছিদ্র তৈরি হয় এবং এর চিকিৎসা যদি না করা হয় তাহলে বাচ্চার স্পষ্ট ভাবে কথা বলতে সমস্যা হতে পারে, ঘুম কমে যেতে পারে এমনকি তার আত্মবিশ্বাস কমে যেয়ে স্কুলের পারফরমেন্স খারাপ হতে পারে।
৪। ফ্লোরাইড ব্যবহার না করা : ফ্লোরাইড দাঁতের ছিদ্র হওয়া রোধ করে। তাই ২ বছর বয়স থেকেই ফ্লোরাইড যুক্ত পানি ও টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে।
৫। ড্রিঙ্ক খেতে দেয়া : দাঁতের ক্ষয়ের একটি প্রধান কারণ হচ্ছে বিভিন্ন ড্রিঙ্কস খাওয়া। বাসায় বা খেলাধুলা করার সময় অনেকেই বাচ্চাকে ড্রিঙ্কস খেতে দেন এটা ঠিক নয়। বাচ্চাকে বুঝাতে হবে এবং আস্তে আস্তে খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এর শেষ বর্ষের ছাত্রী ফারহানা দিলশাদ সুকি জানিয়েছেন যে, ১০ বছর বয়সের নিচের বাচ্চাদের কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৬।স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো : স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার ( কলা, ক্রেকার ইত্যাদি) আছে যারা দাঁতের ছিদ্র তৈরি করার ক্ষেত্রে বড় ভুমিকা রাখে। এই খাবার গুলো আঠাল ও চিনি সমৃদ্ধ । এগুলো খাওয়ার পরে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকে যা ক্যাভেটি সৃষ্টি করে।
৭। ডেন্টিস্ট এর কাছে নিতে দেরি করা : শিশুর প্রথম দাঁত উঠার পরপর বা তাঁর প্রথম জন্মদিনে ডেন্টিস্ট এর কাছে নিয়ে যেতে পারেন। দুধ দাঁতই স্থায়ী দাঁতের জন্য জায়গা তৈরি করে দেয়, তাই দুধ দাঁতের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। ৬ মাস পর পর বা বছরে ১ বার আপনার বাচ্চাকে ডেন্টিস্ট এর কাছে নিয়ে যান এবং দাঁতের প্লাক/ ময়লা পরিষ্কার করিয়ে নিন যা ব্রাশ করার মাধ্যমে যায় না।
Share:

শিশুদের দাঁতের যত্ন

শিশুদের দাঁতের যত্ন

মানুষের সারা জীবনে দাঁত দু'বার উঠে। প্রথমত আপনার বাচ্চার ৬ মাস বয়স থেকে ২-২.৫ বছরের মধ্যে যে দাঁতগুলো উঠে সেগুলোকে দুধ দাঁত বলে। উপরের ও নিচের পাটি মিলিয়ে মোট দুধ দাঁতের সংখ্যা থাকে ২০ টি। আর দুধ দাঁত পড়ে গিয়ে আমাদের মুখে যে দাঁতগুলো আসে সেগুলো হল স্থায়ী দাঁত। দুধ দাঁত পড়ে গিয়ে স্থায়ী দাঁত উঠে বলে প্রায়ই আমরা দুধ দাঁত নিয়ে অবহেলা করি, আর ঠিকমত যত্ন নিই না। কিন্তু আমাদের অবশ্যই দুধ দাঁতগুলোর প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।

কেননা সুস্থ দাঁত দিয়ে বাচ্চারা তাদের খাবার ঠিকমত চিবিয়ে খাবে যা তার পরিপূর্ণ পুষ্টি বহন করবে। এটা আপনার শিশুর মুখের ভাষা তৈরিতে (Speech Development) সাহায্য করবে এবং স্থায়ী দাঁতের জন্য জায়গা সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে একটি সুস্থ সবল স্থায়ী দাঁত উপহার দিবে। সর্বোপরি সুস্থ সবল দাঁত ও সুস্থ সবল হাসি আপনার বাচ্চাকে প্রফুল্ল রাখবে। সুতরাং আমাদেরকে অবশ্যই শিশুদের দুধ দাঁতের প্রতি সঠিক সংরক্ষণ ও যত্ন নিতে হবে।

প্রথমত, শিশুর যখন প্রথম দাঁত উঠে তখন থেকেই তার দাঁত পরিষ্কার শুরু করতে হবে। শিশুর প্রথম দাঁত পরিষ্কার নরম পাতলা কাপড় দিয়ে বা বাচ্চাদের টুথ ব্রাশ (বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দাঁতের ব্রাশ বাজারে পাওয়া যায়) দিয়ে দিনে কমপক্ষে একবার (দুইবার করলে ভালো) করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত পরিষ্কার করার অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে।

যখন শিশুর বেশির ভাগ দাঁতই চলে আসবে (২-২.৫ বছর বয়সে) তখন থেকে ব্রাশে সামান্য ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট নিয়ে ব্রাশ করা শুরু করতে পারে। ফ্লোরাইড দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। উন্নত দেশে সাধারণত পানির সাপ্লাইয়ের সাথেই ফ্লোরাইড মিশিয়ে দেয়া হয় কিন্তু আমাদের দেশে এ ধরনের কোন ব্যবস্থা নেই বলে অবশ্যই একজন ভাল ডেন্টিস্টের সাথে পরামর্শ করে ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে হবে।

ফ্লোরাইড টুথপেস্ট খুব সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে এবং শিশু যেন পেস্ট গিলে না ফেলে এজন্য প্রথম থেকেই তাকে থুথু ফেলে দেয়ার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। ২-৩ বছরের পর থেকে দিনে একবার ফ্লসিং করতে হবে। এতে দুই দাঁতের মাঝখানের ময়লা সহজেই পরিষ্কার হবে যা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা যায় না। ডেন্টাল ফ্লস এক ধরনের সুতা যা দিয়ে দুই দাঁতের মাঝখানটা ভাল করে পরিষ্কার করা যায়।
দাঁতের ক্ষয়রোধের জন্য অবশ্যই শিশুর খাবারের প্রতি নজর দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন শিশুর খাদ্য তালিকায় চিনি জাতীয় খাবার কম থাকে বা চিনি জাতীয় খাবার বেশি খেলে শিশু যেন অবশ্যই সাথে সাথে মুখ কুলকুচি করে ফেলে।

শিশুকে চকোলেট বা ক্যান্ডি থেকে টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল খাবার প্রতি উৎসাহিত করে তুলতে হবে। শিশুকে ফিডার বা বোতল ফিডিং করালে দীর্ঘক্ষণ যেন ফিডার (চিনিযুক্ত জুস বা দুধ) শিশুর মুখে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চিনিযুক্ত জুস বা দুধ খাওয়ার পর তাকে ফিডারে পানি দেয়া যেতে পারে। তাই শিশুকে তার প্রথম দাঁত উঠা শুরু হওয়ার সময় ডেন্টিস্টের কাছে নিতে হবে এবং চেকআপ পরবর্তী উপদেশ মেনে চলতে হবে।

শিশুর দাঁতের মধ্যে যদি কোন গর্ত বা কালো দাগ হয় বা মাড়ি ফুলে যায়, তাহলে শুধু দাঁত ব্রাশ বা ফ্লসিং শিশুর দাঁত ব্যথা কমাতে পারবে না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই শিশুকে একজন ডেন্টিস্টের কাছে নিয়ে যেতে হবে। শিশুর যদি বৃদ্ধাঙ্গুলি চুষার অভ্যাস থাকে তাহলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর (সাধারণত তার সামনের কর্তন দাঁত ওঠার পর) তাকে অভিজ্ঞ ডেন্টিস্টের কাছে নিয়ে যেতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পদ্ধতি শিশুকে আয়ত্ত করাতে হবে। সর্বোপরি সঠিক পদ্ধতি মেনে চলে দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস করতে হবে। দীর্ঘ সময় ফিডারে খাবার অভ্যাস বাদ দিতে হবে এবং নিয়মিত ডেন্টাল সার্জন দ্বারা চেকআপ করে শিশুদেরকে দাঁতের মারাত্মক রোগগুলো থেকে রক্ষা করতে হবে।
Share:

দাঁতের হলদে ভাব দূর করার উপায়

দাঁতের হলদে ভাব দূর করার উপায়

আমরা প্রতিদিন যেসকল খাবার খাই তার মাধ্যমে দাঁতে দাগ ও হলদেটে ভাব আসা খুবই স্বাভাবিক। হলদেটে দাঁত একটু বিব্রতকরই বটে। কিন্তু এই হলদেটে দাঁত নিয়ে তো সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব নয়। দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই । এই সমস্যা থেকে আপনাকে রক্ষা করবে ফেলনা কলার খোসা। চলুন তাহলে জেনে নিই কীভাবে।
মূলত কলার খোসায় থাকা পটাশিয়াম, ম্যাংগানিজ ও ম্যাগনেসিয়াম দাঁত সাদা করতে সহায়তা করে। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাবেন। যাদের দাঁত অনেক বেশি হলুদ তাদের একটু বেশি সময় লাগতে পারে।
কলা খেয়ে সাধারণত আমরা খোসা ফেলেই দিয়ে থাকি। কিন্তু আজ থেকে ফেলে দেবেন না। এই কলার খোসাই আপনার হলদেটে দাঁতে নতুন চমক নিয়ে আসতে পারে নিমেষেই। তবে কলা এমনভাবে বেছে নিন যেনো খুব পাকা না থাকে আবার কাঁচাও না হয়। একটু সবুজাভাব কলার খোসা এই কাজটির জন্য পারফেক্ট।
প্রথমেই কলা খেয়ে কলার খোসার কিছুটা অংশ চারকোণা করে কেটে নিন এবং বাকি অংশ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। এবার কলার খোসা দিয়ে দাঁতের উপরের পাটি ১ মিনিট এবং নিচের পাটি ১ মিনিট মোট ২ মিনিট ভালো করে ঘষে নিন। এরপর কুলি করে নিয়ে নিজের টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে নিন। এবার দেখুন ম্যাজিক। আগের থেকে অনেক বেশি সাদা দেখাবে দাঁত।
এছারা, এই পদ্ধতি নিয়মিত ব্যবহার করবেন না। এতে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ কিছু সময়ে ব্যবহার করুন।
Share:

দাঁতের যত্ন ঠিক মতো করছেন তো? জেনে নিন ডেন্টিস্ট কী বলেন

দাঁতের যত্ন ঠিক মতো করছেন তো? জেনে নিন ডেন্টিস্ট কী বলেন

আমরা কেউই দাঁতের মর্ম বুঝি না যতক্ষণ না পর্যন্ত অনেক বড় কোনো ক্ষতি হচ্ছে। একটি ক্ষতি হয়ে যাওয়ার পর তা নিয়ে আফসোস করতে থাকি। দাঁতের যত্নে আমরা যা করি তা কি আসলেই আমাদের দাঁতের জন্য ভালো? আমরা যা করছি তা কি সঠিক হচ্ছে কিনা তাও আমরা অনেকেই জানি না। এছাড়াও এমন সব বিষয় করে থাকি এবং মেনে থাকি তা বরং দাঁতের উলটো ক্ষতি করে থাকে। আপনি ঠিক জিনিসটি জানেন তো? যদি না জেনে থাকেন তাহলে চলুন দাঁত সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে নেয়া যাক ডেন্টিস্টের কাছ থেকেই। বুঝে নিন আপনি দাঁতের সঠিক পরিচর্যা করছেন কি না, দাঁত সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা আছে কি না।

১) দাঁতের ক্ষতির মূল কারণ শুধু চিনি নয়

আমাদের ধারণা চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার বেশী খাওয়ার পরই দাঁতের ক্ষতি হয়। যে কারণে ছোটদের নানা মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে বঞ্চিত করা হয়, দাঁতের নানা সমস্যার কারণে আমরা মূলত চিনিটাকেই দায়ী করে থাকি। কিন্তু ডেন্টিস্ট শারমিন সৈয়দ জানান,’ চিনি মূলত দাঁতের ক্ষতির জন্য দায়ী নয়, চিনি শুধুমাত্র আমাদের মুখের ভেতরে এক প্রকার ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয় যার ফলে ক্ষতি হয় দাঁতের। এবং এই ধরণের ব্যাকটেরিয়া শুধু চিনি নয় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার পরও হতে পারে’।

২) ফ্লসিংয়ের প্রয়োজনীয়তা

ডেন্টিস্ট শারমিন জানান, ‘আমাদের দেশের অনেক মানুষই ফ্লসিংয়ের ব্যাপারে একেবারেই নজর দেন না। অনেকেই ভাবেন ফ্লসিং তেমন জরুরী কিছুই নয়। কিন্তু ফ্লসিং শুধুমাত্র খাদ্যকনা দূর করে না। দাঁত ফ্লস করার মাধ্যমে দাঁতের ফাঁক থেকে জমে থাকা প্লাক দূর করা সম্ভব হয় যা ব্রাশের মাধ্যমে করা সম্ভব হয় না। কেউ যদি ভাবেন ফ্লসিং ছাড়াই দাঁতের সুরক্ষা করতে পারবেন তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন’। সুতরাং ফ্লসিং করার কথা ভুলে যাবেন না একেবারেই।

২) সোডা বা সফট ড্রিংকস এবং দাঁতের ক্ষতি

দাঁতের অনেক যত্ন নেন ঠিকই কিন্তু গরম লাগ্লেই পানির পরিবর্তে হাত বাড়ান সোডা বা সফট ড্রিংকসের দিকে? তাহলে জেনে রাখুন আপনার দাঁতের যত্ন একেবারেই হচ্ছে না। কারণ সফট ড্রিংকসের অ্যাসিডের মাত্রা মুখের ভেতরের পিএইচ এর মাত্রার তারতম্য ঘটায় যার ফলে দাঁতের উপরের এনামেল নরম হয় ক্ষয়ে যেতে থাকে। তাই দাঁতের জন্য এইসব পানীয় পান বন্ধ করুন।

৪) দাঁত সাদা করার প্রক্রিয়া

ডেন্টিস্ট শারমিন বলেন, ‘আমার কাছে এমন অনেক রোগীই আসেন যারা দাঁত সাদা করতে চান এবং তার জন্য নানা ধরণের টুথ হোয়াটেনিং ব্যবহার করেছেন। অনেকেই আবার ঘরোয়া বিষয়গুলোও ব্যবহার করেন, কিন্তু একজন ডেন্টিস্ট হিসেবে আমার পরামর্শ এইধরনের কাজ না করে দাঁত সাদা করার ব্যাপারে অবশ্যই ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ দাঁত সাদা করতে গিয়ে দাঁতের এনামেলের এমন ক্ষতি করেন অনেকেই যা পূরণ করা সম্ভব হয় না অধিকাংশ সময়ে’। সুরতাং যদি নিজের দাঁত পছন্দ করেন এবং নিজের হাসিটাকেও পছন্দ করেন তাহলে দাঁত সাদা করার প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে পরামর্শ নিন।
Share:

দাঁতের সঠিক যত্ন নেবেন কিভাবে

দাঁতের সঠিক যত্ন নেবেন কিভাবে

হাসতে নাকি জানে না কেউ কে বলেছে ভাই, এই দেখনা কত হাসির খবর বলে যাই। মনের অজান্তেই মনে পড়ে গেলো ছোট্ট বেলার কবিতা। তবে এই হাসির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে আমাদের দাঁত। যার দাঁত সুন্দর তার হাসিও সুন্দর। তাছাড়া এই দাঁতের সাহায্যেই আমরা প্রতিদিন খাবার খেয়ে থাকি। তাই সুন্দর এবং মজবুত দাঁতের জন্য চাই দাঁতের সঠিক যত্ন। দাঁতের যত্ন নিতে সঠিক স্বাস্থ্য অভ্যাস গড়ে তোলা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।এখন জেনে নেয়া যাক কিভাবে আমরা সঠিক নিয়মে দাঁতের যত্ন নিব –
০১.নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুনঃ
প্রতিদিন অন্তত ২ বার ভালো ভাবে আপনার দাঁত ব্রাশ করুন এবং প্রতিবার দুই মিনিট করে সময় নিবেন।এমন ভাবে ব্রাশ করতে হবে যেন আপনার ব্রাশ দাঁতের সব দিকে পৌঁছায় এবং আপনার জিহবাকেও যেন স্পর্শ করে।দাঁত ব্রাশ করার সময় প্রথম দুই মিনিট একটি শুষ্ক ব্রাশে শুধু পানি ব্যবহার করে আপনার দাঁত ব্রাশ করুন। এটায় কোন টুথপেষ্ট থাকবে না।খেয়াল রাখবেন যেন মাড়ির নিচে আপনার দাঁতের সাথে লেগে থাকা biofilm(হলদেটে প্লাক) পরিষ্কার হয়। GUM লাইনের নিচে ব্রাশ সহজে বাঁকানো এবং সরানোর জন্য একটু সময় নিন, কারণ এটা পরিষ্কার করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই মিনিট পর টুথপেস্ট লাগানো যেতে পারে।আপনি এতে ফ্লোরাইডের সুবিধা পাবেন, দাগ দূর করতে পারবেন।আপনার দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।
দিনের বেলায় দাঁত ব্রাশ করার কারণে প্লাক উপজাত এবং বিষক্রিয়া জনিত মাথাব্যথার ক্ষতি হ্রাস করা সম্ভব।তাই যদি পারেন দুপুরেও খাওয়ার পর একবার দাঁত ব্রাশ করে নিন। আপনি এ বিষয়ে পরিষ্কার জানার জন্য আপনার ডেন্টিস্টকে অনুরোধ করতে পারেন।
রাতে ঘুমানোর viagrapill সময় আমাদের মুখ দিনের মতো লালা সুরক্ষা করে না।তাই রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে এক বার দাঁত ব্রাশ করা ভালো।এতে আপনি সকাল পর্যন্ত নিশ্চিন্ত ও সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।
০২. দৈনিক দাঁতে Floss এবং জিহবার স্ক্র্যাপার ব্যবহার করুনঃ
যে কোন খাবার খাওয়ার পর তা আপনার দাঁতের মধ্যে আঁটকে যায় (যেমনঃ মাংস, ভূট্টা, caramel, চিনাবাদাম, মাখন, ইত্যাদি)। তাই দৈনিক আপনার দাঁতে Floss ব্যবহার করুন। Floss ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার দাঁতের অন্য পাশকেও পরিষ্কার করতে পারবেন যেখানে আপনার টুথব্রাশ পৌঁছোতে পারে না।
স্বাস্থ্যবিধির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে জিহবার স্ক্র্যাপার।নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ এবং জিহবার প্লাক দূর করার জন্য এটি ব্যবহার করুন।আপনার টুথব্রাশ ব্যবহার করেও জিহবা পরিষ্কার করতে পারেন।
০৩. মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করুনঃ
আপনার ডেন্টিস্টের সাহায্যে একটি ভালো ফ্লোরাইড মাউথ ওয়াশ খুঁজে বের করুন। ফ্লোরাইড মাউথ ওয়াশ দাঁত জোরদার করতে সাহায্য করে।৬ থেকে ১২ বছর বয়সের মধ্যে শিশুদের মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা শেখানো ভালো।তবে ব্যবহারের আগে বোতলের সাথে থাকা নির্দেশনা দেখে নিবেন।
০৪. বিজ্ঞতার সঙ্গে আপনার খাবার বেঁছে নিনঃ
snack জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কারন ক্রমাগত snacking আপনার দাঁতে প্লাক তৈরি করতে পারে, যা ধীরে ধীরে cavities বা ছোট ছোট ছিদ্র হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।চিনিযুক্ত এবং স্টিকি খাবার এড়িয়ে চলুন। চিনি, আমাদের মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া জমায়, যা দাঁতের ভাঙ্গন সৃষ্টি করে।তাই এ জাতীয় খাবার খাওয়ার পর সাথে সাথে প্রচুর পানি বা পানীয় পান করবেন।মনে রাখবেন যে, ফলের রসে প্রচুর এসিড ও প্রাকৃতিক চিনি থাকে। তাই ন্যূনতম ফলের রস পান করুন।শুধুমাত্র খাবার-সময়ে অথবা যখন প্রচুর খাবার খাওয়া হয় তখন ফলের রস পান করতে পারেন।বীজ জাতীয় খাবার এবং শক্ত হাড় কম চিবোনোর চেষ্টা করুন। কারণ এটি আপনার দাঁতের molars এর মধ্যে ফাঁটল তৈরি করতে পারে।
০৫. ডেন্টিস্ট এর কাছে যানঃ
অন্তত প্রতি ছয় মাস পর পর আপনার ডেন্টিস্ট এর কাছে যান এবং আপনার দাঁতের কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে আপনার ডেন্টিস্টকে জানান।বছরে একবার একজন পেশাদারী রেজিস্টার্ড ডেন্টাল hygienist এর কাছ থেকে দাঁত পরিস্কার করুন।সবসময় খেয়াল করবেন যে কোন cavities বা মাড়ির রোগের লক্ষণ দেখা যায় কিনা।ব্রাশ এবং floss ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আপনার দাঁতের ডাক্তার এবং দাঁতের hygienist এর কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।
টিপসঃ
• আপনার টুথব্রাশ প্রতি তিন মাস পর পর বদলান।
• প্রতিদিন দুধ পান করার চেষ্টা করুন, এটি আপনার ক্যালসিয়াম বাড়ায়। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে।
• টুথব্রাশ এমন হতে হবে যেন সহজেই তা gumline এর দিকে বাঁকানো যায়।একটি ছোট বৃত্তাকার গতিতে আপনার দাঁতের ভেতরে,বাইরে,উপরে এবং GUM লাইনের নিচে ব্রাশ করুন। কোমল পানীয় পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং চিনিযুক্ত খাবার আপনার দাঁত থেকে দূরে রাখুন।
• খুব শক্ত ব্রাশ আপনার মাড়িতে আঘাত করে রক্ত ঝড়াতে পারে আর খুব নরম ব্রাশ প্লাক দূর করতে পারে না। তাই মাঝারি ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করুন।
• যখন আপনার সামনের দাঁতের ভেতর পাশ ব্রাশ করবেন, প্রথমে টুথব্রাশ কে আপনার দাঁতের ডান পাশের উপর রাখুন।এরপর ব্রাশ নিচে এবং উপরের দিকে সরিয়ে প্রতিটি দাঁত ব্রাশ করবেন ।এই পদ্ধতি প্রতিটি দাঁতের জন্য বেশ কয়েকবার করে করুন।
• দাঁত ব্রাশ করার পরে মুখে মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।
• আপনার জিহবা ব্রাশ করতে ভুলবেন না, সেই সাথে আপনার মুখের উপরের তালু।
ব্যাকটেরিয়া আমাদের একটা অংশ, এটা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।প্রত্যেকের মুখেই লক্ষ লক্ষ ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, যার কোন উদ্দেশ্য নেই।এটি দাঁতের পৃষ্ঠের চারপাশে নিজেদের স্থান করে নেয় এবং আমাদের দাঁতে “প্লাক” সৃষ্টি করে অদৃশ্য ভাবে আমাদের দাঁত ক্ষয় করতে থাকে। এটা খুব স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং দ্রুত ঘটে।সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার জিহবা আপনার দাঁতের উপর চালালেই এই অনুভূতি অনুভব করতে পারবেন। তাই অবহেলা না করে সঠিক ভাবে দাঁতের যত্ন নিন।
Share:

দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পরা বন্ধ করার উপায়

দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পরা বন্ধ করার উপায়

দাঁতের সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হলো মাড়ি থেকে রক্ত পড়া। এই সমস্যা শুরু হলে অনেক চিকিৎসা করেও রেহাই পাওয়া সম্ভব হয় না যদি না আপনি নিজে থেকে সচেতন হয়ে যত্ন নেন। দাঁতের যত্নে আমরা অনেকেই বেশ অবহেলা করে থাকি। গবেষণায় দেখা যায় প্রায় ৫৫% পূর্ণবয়স্ক মানুষ আলসেমি করে এবং ঘুমের কারণে রাতের বেলা দাঁত ব্রাশ করেন না। ফলে দাঁতের এবং দাঁতের মাড়ির নানা সমস্যা দেখা দেয়। দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া রোধে আপনি করতে পারেন নানা কাজ। এই কাজগুলো তাৎক্ষণিক ভাবে উপশমে কাজে দেবে, এবং মাড়ির সুরক্ষাতেও কাজ করবে।
১) লবঙ্গ
ঘরে থাকা সবচাইতে সহজলভ্য এবং মাড়ির রক্ত পরার উপশমে কার্যকরী উপাদানটি হচ্ছে লবঙ্গ। লবঙ্গের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান মাড়ির রক্ত পড়া দ্রুত বন্ধ করে এবং দাঁতের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে। মাড়ির রক্ত পড়া রোধে দুটো লবঙ্গ মুখে নিয়ে চিবিয়ে চুষতে থাকুন। দেখবেন মাড়ির রক্ত পড়ার সমস্যা দূর হবে।
২) অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার নানা ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানি। এরই মধ্যে মাড়ির সুরক্ষার গুনটিও পড়ে। অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে এর ভেতরকার অ্যালোভেরা জেল বের করে মাড়িতে ঘষে নিন। এরপর অ্যালোভেরার জেলটি খানিকক্ষণ মুখে রেখে দিন। তারপর মুখ কুলি করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
৩) ফল এবং কাঁচা সবজি খাওয়া
আপেল, পেয়ারা, গাজর, পেঁপে ইত্যাদি ধরণের ফল দারে মাড়ির জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এই ধরনের ফলমূল এবং কাঁচা সবজি খাওয়ার সময় দাঁতের মাড়ির ভেতর রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এতে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
লবণ পানির কুলকুচা
মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে এবং মাড়ির সুরক্ষায় সব চাইতে সহজ একটি ঘরোয়া কাজ হচ্ছে লবণ ও কুসুম গরম পানির কুলকুচা করা। ১ মগ কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে দিনে ৩ বার কুলকুচা করুন। মাড়ির রক্ত পড়া সমস্যা থেকে রেহাই
৪) পাবেননিয়মিত ব্রাশ এবং ফ্লস করা
অনিয়মিত ব্রাশ করার কারণে অনেক সময় দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়। তাই নিয়মিত ব্রাশ করার অভ্যাস করা উচিৎ। ব্রাশের পাশাপাশি ফ্লস করা অত্যন্ত জরুরী। কারণ ফ্লসের মাধ্যমে মাড়িতে লেগে থাকা খাদ্যকনা দূর হয় যা ব্রাশ করার পরও রয়ে যায়। তাই মাড়ি থেকে রক্ত পরার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে ব্রাশের পাশাপাশি ফ্লস করুন।
Share:

দাঁতের ব্যাথা সাময়িক নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ঘরোয়া সমাধান

দাঁতের ব্যাথা সাময়িক নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ঘরোয়া সমাধান

দাঁতের ব্যাথা শব্দটির সাথে আমরা সবাই বেশ পরিচিত। অনেকভাবেই এই ব্যাথা অনুভূত হতে পারে। ব্যাক্তি বিশেষে এটি হালকা বেদনাদায়ক থেকে শুরু করে তীব্র বেদনাদায়কও হতে পারে, ফলে দাঁতসহ চোয়ালের আশেপাশের অংশ জুড়ে প্রচণ্ড ব্যাথা হয়ে থাকে, যাকে সাধারণত বলা হয় Throbbing Pain। দাঁতের ব্যাথার কয়েকটি সাধারণ কারণ হচ্ছে ক্যাভিটি, ইনফেকশন, দাঁতের গোড়া বেড়িয়ে পড়া, ভাঙ্গা কিংবা চিড়যুক্ত দাঁত, মাড়ির সমস্যা কিংবা চোয়ালের জয়েন্ট ডিসঅর্ডার।
দাঁতে ব্যাথা হলে দেরি না করে ডেনটিস্টের পরামর্শ নিন। তার আগে দাঁতের ব্যাথাকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বণ করার সময় খেয়াল রাখবেন যাতে এমন কিছু না করা হয় যা আপনার সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলবে। তাই উপযোগী পদ্ধতি বেছে নিন।
সমাধান- ১
সমপরিমাণ কালো গোলমরিচের গুঁড়া আর লবন নিন। সামান্য পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। আক্রান্ত স্থানে কিছুক্ষণের জন্য এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন। এভাবে কিছুদিন নিয়মিত করতে পারেন। এই মিশ্রনটি সেনসিটিভ দাঁতের জন্য বেশ উপকারী, কেননা এরা উভয়ই Antibacterial, Anti- inflammatory এবং  Analgesic গুণাগুণ সমৃদ্ধ।
সমাধান- ২
কয়েকটি রসুনের কোয়া সামান্য ছেঁচে তাতে কিছুটা লবন মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন। দাঁতের ব্যাথা থেকে তৎক্ষণাৎ আরাম পাবেন। কারণ রসুন অ্যান্টিবায়োটিক ও ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় দাঁতের ব্যাথা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সমাধান- ৩
দুইটি লবঙ্গ পিষে তা অল্প অলিভ অয়েল কিংবা যেকোনো ভেজিটেবল অয়েলের সাথে মিশিয়ে ব্যাথার স্থানে লাগান। লবঙ্গ ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে দাঁতের ব্যাথা নিরাময়ে সাহায্য করে।
সমাধান- ৪
অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণাগুণযুক্ত পেঁয়াজ দাঁতের ব্যাথা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। কিছুক্ষণের জন্য কাঁচা পেঁয়াজ টুকরা করে চিবাতে থাকুন কিংবা পেঁয়াজের টুকরা নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন।
সমাধান- ৫
অর্ধেক চামচ লবন এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে অনেক আরাম পাবেন। এতে ফোলাভাব কমে আসবে এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন।
সমাধান- ৬
কয়েকটি পেয়ারা পাতা নিয়ে চিবাতে থাকুন, এর রস দাঁতের ব্যাথার জন্য উপকারী। তাছাড়া ৪/৫ টি পেয়ারা পাতা পানিতে দিয়ে ফুটান। সেই পানি ঠাণ্ডা করে সামান্য লবন মিশিয়ে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করুন।
সমাধান- ৭
ভ্যানিলা এক্সট্রাক্টের ব্যবহার দাঁতের ব্যাথা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত একটি  পন্থা। একটি তুলার বল নিয়ে ভ্যানিলা এক্সট্রাক্টে ডুবিয়ে ব্যাথাযুক্ত স্থানে লাগান। ফলাফল পেতে দিনে একাধিক বার লাগান। এতে ব্যাথা অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
সমাধান- ৮
বরফের টুকরা ব্যাথা উপশমে বেশ কার্যকরী। এজন্য সুতি পাতলা কাপড়ে একটি ছোটো বরফের টুকরা নিয়ে পেঁচিয়ে নিন। যে স্থানের দাঁতে ব্যাথা সেখানে গালের কাছে নিয়ে কয়েক মিনিট ধরে রাখুন। যদি আপনার এক্সপোসড নার্ভের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ঠান্ডার সংস্পর্শে ব্যাথা আরও বেড়ে যেতে পারে।
Share:

দাঁতের ক্ষয় রোধ করুন

 দাঁতের ক্ষয় রোধ করুন

শুধু কি মুখের সৌন্দর্য বাড়াতে দাঁত! বরং খাবার খাওয়ার কাজটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথেই পালন করছে দাঁত। আর এই দাঁত আমাদের শরীরের এক অপরিহার্য অংশ বা বলা যায় দাঁত আমাদের মূল্যবান সম্পদ। বাংলাতে একটি প্রবাদ বাক্য আছে, আমরা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝি না। দাঁত না থাকলে যেমন কোন কিছু খাওয়াও সম্ভব না তেমনি আমাদের শারীরিক সৌন্দর্যের ব্যাঘাত ঘটে। একটু অসচেতনার কারণে আপনি হারাতে পারেন আপনার মূল্যবান দাঁত। দন্ত ক্ষয় বা ডেন্টাল ক্যারিজ তারই পূর্বের লক্ষণ। এসিডিক খাবার খাওয়ার পরে মুখ ভালো ভাবে ওয়াশ করা না হলে দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে খাদ্য কনা জমতে থাকে। ব্যাকটেরিয়া দাঁতের গোড়ায় লেগে থাকা খাবারে ল্যাকটিক এসিড তৈরি করে। দাঁতের ক্ষয় রোগের জন্য মূলত দায়ী করা হয় ল্যাকটিক এসিডকে। দাঁতের এনামেল থেকে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ বের হয়ে যায়। এর ফলে দাঁতের ক্ষয়রোগ দেখা দেয়। পানীয় ও খাদ্যের মধ্যকার এসিড দন্ত ক্ষয়ের কারণ। “পিএইচ-এর পরিমাণ যত কম হবে পানীয় ও খাদ্য তত এসিডিক হবে”।
আজকের সামান্য দাঁতের ক্ষয়, যা পরবর্তীতে অনেক ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে। কিন্তু কিছু সহজ অভ্যাসের গড়ে তোলার মাধ্যমে বা একটু সচেতন হলেই আমরা বেশ সহজেই প্রতিরোধ করতে পারি দাঁতের ক্ষয়। এই অভ্যাসগুলো ছোট বড় সকলের গড়ে নেয়া উচিত।
সঠিক নিয়মে নিয়মিত ব্রাশঃ
প্রতিদিন অন্তত ২ বার দাঁত ব্রাশ করা উচিত। কিন্তু অনেকেই রাতের বেলা দাঁত ব্রাশ করে না। কিন্তু রাতের বেলাই জীবাণুর আক্রমণে দাঁতের ক্ষয় বেশি হয়। অনেকেই নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করার পরও দাঁতের ক্ষয় রোগে ভোগেন। এর কারণ হলো ঠিকমত ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ না করা। অনেকেই ভুলভাল দাঁতের ওপর ব্রাশ ঘষে থাকে। কিন্তু দাঁত ব্রাশের সঠিক নিয়ম হলো উপর থেকে নিচের দিকে ব্রাশ করা।

মাউথওয়াসঃ
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই দাঁত ব্রাশ করার পর মাউথওয়াস ব্যবহার করেন না। মনে করেন দাঁত ব্রাশ করলেই চলবে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ দাঁতের সুরক্ষার জন্য ছোট বড় সকলের মাউথওয়াস ব্যবহার করা উচিত।
খাওয়া-দাওয়াঃ
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার দাঁতের ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন দুধ, মাখন, দই, শাক, ব্রোকলিতে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম থাকে। এতে দাঁতের ক্ষয় রোধ হয়। প্রতিদিন খাবার তালিকায় মাছ, শাকসবজি, দুধ ও আঁশযুক্ত সবজি রাখুন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পানি ডেন্টাল ফ্লসের ভূমিকা পালন করে।
এ খাবারগুলো দৈনন্দিন খেলে এবং উপরে বর্ণিত কথা গুলো একটু সচেতনতার সাথে মেনে চললে আপনার দাঁতের ক্ষয়রোধের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে আসে। তারপরও দাঁতের সুস্থতা এবং ক্ষয়রোধের জন্য বছরে অত্যন্ত একবার হলেও দাঁতের চেকআপ করতে একজন ডেনটিস্টের কাছে যাওয়া উচিত।
Share:

দাঁত থাকুক ঝকঝকে সাদা আর হাসিতে ঝরুক মুক্তা

দাঁত থাকুক ঝকঝকে সাদা আর হাসিতে ঝরুক মুক্তা

একটি সুন্দর হাসি আমাদের সবার মন ভালো করে দেয়। আমরা অনেককেই বলতে শুনি হাসিতে তার মুক্তা ঝরে। এরকম মুক্তা ঝরানো হাসির জন্য সুন্দর, পরিষ্কার, দুর্গন্ধমুক্ত ও ঝকঝকে সাদা দাঁতের প্রয়োজন হয়। অনেকের দাঁত হলদে বা কালচে বর্ণের হয়ে থাকে। তারা এজন্য বিব্রতবোধ করে থাকেন। চলুন আজ জেনে নেই হলুদ দাঁত থেকে মুক্তির উপায়।
হলুদাভাব দাঁতের কারণ :
০১. বয়স হলে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন শোষণ ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। তাই ক্যালসিয়াম শোষণ ক্ষমতা কমে যায়। ক্যালসিয়াম দাঁতের গঠনের একটি অন্যতম উপাদান। তাই ক্যালসিয়াম শোষণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে দাঁতের শক্তি ও সুস্থ্যতা থাকেনা। দাঁতের রঙের পরিবর্তন হয়ে কালচে হতে থাকে।
০২. বিভিন্ন মানুষের দাঁতের রঙ বিভিন্ন ধরণের হয়। জেনেটিক কারণে অনেকের দাঁত হলুদাভাব হয়ে থাকে।
০৩. খাদ্যাভাস আমাদের দাঁতের রঙের উপর প্রভাব ফেলে। যেমন – চা , কফি, কোলা, সিগারেট, Acidic জুস। কিছু ওষুধ ও অতিরিক্ত রঙীন খাবার বেশি খেলে দাঁতের রঙ কালচে বা হলদে হয়ে যায়।
০৪. ধুমপান করলে ও জর্দা দিয়ে পান খেলে দাঁত কালচে বা লালচে বর্ণের হয়ে যায়। কারণ এতে নিকোটিন থাকে যা দাঁতের এনামেল নষ্ট করে দেয়।
০৫. কিছু রাসায়নিক পদার্থ ও ওষুধ দাঁতের রঙ পরিবর্তন করে।
০৬. ভালো ভাবে দাঁত ব্রাশ না করলেও দাঁতে হলদেভাব থাকে।
দাঁত সাদা করার উপায়:
দাঁত সাদা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে। এজন্য যা করতে হবে তা হলো –
  • ব্রাশ – নিয়মিত ৩ বেলা খাবারের পরপরই ব্রাশ করতে হবে। ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে। ব্রাশ ও টুথপেস্ট প্রতি ৩ মাস পরপর পাল্টাতে হবে।
  • ফ্লসিং – ব্রাশ করার পর অবশ্যই ফ্লস ব্যবহার করতে হবে। এতে দাঁতের ভেতরের আঁটকে থাকা খাবার বের হয়ে আসবে।
  • মাউথ ওয়াশ – একটি ভালো এন্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ দিয়ে কুলি করে নিবেন। এতে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়।
  • পানি পান করুন – প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন যাতে মুখ ভেজা থাকে। পানি খাদ্যদ্রব্য মুখ থেকে ধুয়ে নিয়ে যায়। এতে খাবার আঁটকে থাকেনা। ফলে ব্যাকটেরিয়াও জন্মাতে পারেনা আর দাঁতে দুর্গন্ধ বা দাগ হয় না। আয়রনযুক্ত কলের পানি খাবেন না। এতে দাঁত হলুদ বা কালচে বর্ণ ধারণ করে।
  • এড়িয়ে চলবেন যেগুলো – কফি, চা, ধুমপান, মদ বর্জন করুন। অতিরিক্ত রঙীন খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত পরিষ্কার করুন।
কিছু প্রাকৃতিক টিপস দাঁত সাদা করার জন্য:
বেকিং সোডা: এটি দাঁত সাদা করতে অতুলনীয় –
– একটি ব্রাশ ভিজিয়ে নিয়ে তাতে বেকিং সোডা নিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত হয় ঝকঝকে সাদা।
– লবন ও ১ চিমটি বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত সাদা হয়।
– এছাড়াও বেকিং সোডা ও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড মিশিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত সাদা হয়।
– সাদা দাঁতের জন্য ম্যালিক এসিড দরকার। এটি তৈরী করতে পারেন স্ট্রবেরী ও বেকিং সোডা দিয়ে। এরপর দাঁতে ঘষে নিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষার পর দাঁত ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন করতে পারেন।
এছাড়াও যা করতে পারেন –
০১. কাঠের কয়লা দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত সাদা হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে কাঁঠের কয়লাটি যেন জীবাণুমুক্ত থাকে এবং কয়লাটি মিহি গুঁড়ো করে নিতে হবে নাহলে দাঁত মাজতে গেলে ব্যথা লাগবে।
০২. লেবু ও লবন মিশ্রণ – এক চিমটি লবন ও কয়েক ফোঁটা লেবু দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত সাদা হয়।
০৩. কমলার খোসার ভেতরটা দিয়ে দাঁত ঘষলে দাঁত সাদা হয়।
০৪. স্ট্রবেরি খেলে দাঁত সাদা হয়। আজকাল আমাদের দেশেও এই ফলটি পাওয়া যায় অথবা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেলে দাঁত সাদা থাকে।
০৫. আপেল সিডার ও সাদা ভিনেগার দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত সাদা হয়।
০৬. পুদিনা পাতা অনেক উপকারী। এটি দাঁত সাদা করে।
০৭. সুগার ফ্রি চিউইংগাম চিবোলে দাঁত সাদা হয়।
০৮.সবুজ চা তে প্রচুর ফ্লুরাইড থাকে। এছাড়া এটি এন্টি এসিডিক হওয়ার কারণে দাঁতে হলুদ রং পড়তে বাঁধা দেয়।
০৯.মাশরুম খান। এতে প্রচুর পরিমাণে পলিস্যাকারাইড থাকে। যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ও ডেন্টাল প্লাক হতে দেয়না।
১০.এছাড়াও মেয়েরা তাদের দাঁত সাদা দেখানোর জন্য নীল বেজের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন।
জানলেন তো দাঁত কিভাবে সাদা রাখতে হয়! এবার একটি সুন্দর হাসি উপহার দিন প্রিয়জনকে।
Share:

আপনার উজ্জ্বল হাসি ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে

আপনার উজ্জ্বল হাসি ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে

সুস্থ দাঁতের সুন্দর হাসি আমরা সবাই ভালোবাসি । দাঁতের যত্নে আমাদের সবারই খুব সচেতন হওয়া উচিৎ । বিভিন্ন কারনের আমাদের এই সুন্দর ঝকমকে দাঁত দিনে দিনে যত্নের অভাবে হয়ে ওঠে হলুদ। পানিতে অতি  মাত্রার আয়রন, ধূমপান, দূষণ , নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করতে অবহেলা – এসব কারণে আমাদের দাঁত হলদেটে হয়ে যায়। কিন্তু, সঠিক যত্নের পাশাপাশি কিছু বিশেষ খাবার আপনার দাঁতকে ঝকঝকে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
আসুন জেনে নিই সেসব খাবারের একটি তালিকা –
পনির ও দুধ
পনির ও দুধ দাঁতের এনামেলকে সুরক্ষা করে এবং দাঁতের ক্যাভিটিকে দূরে রাখে। খাবার দুটির প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁতের এনামেলের ক্ষয় রোধ করে দাঁতকে মজবুত করে তোলে এবং একই সাথে দাঁতকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি দাঁতের উজ্জলতাকে ধরে রাখে।
সাইট্রাস অ্যাসিডযুক্ত ফল
সাইট্রাস অ্যাসিড মুখে স্যালাইভার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।যেসব ফলে এই এসিডটি আছে যেমন কমলা, আঙ্গুর এগুলো দাঁতের এনামেলকে রক্ষা করে আবার এই ফলগুলোতে প্রচুর পরিমানে পানি থাকায় এসব খাওয়ার ফলে দাঁতের এসিড উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়াকে পরিষ্কার করে দাঁতকে উজ্জ্বল ও শক্তিশালী করে তোলে।
ওমেগা ৩
ওমেগা ৩ যুক্ত খাবার দাঁতের সুরক্ষায় খুবই কার্যকরী । দাঁত এ বিভিন্ন ধরণের প্রদাহ ও সংক্রমনের ফলে দাঁত অনুজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং অনেক ধরণের রোগের সৃষ্টি হয় । ওমেগা ৩ যুক্ত খাবার দাঁতের এসব প্রদাহ ও সংক্রমন হতে দাঁতকে রক্ষা করে দাঁতকে সাস্থ্যময় করে তোলে । মাছ, মাছের তেল ও বীজ জাতীয় খাবারে ওমেগা ৩ পাওয়া যায় ।
সবজি
গাজর, ব্রকলি বা সবুজ শাক জাতীয় খাবার দাঁত থেকে হলুদ দাগ দূর করে। বিশেষভাবে গাজরে অনেক ক্যারোটিন রয়েছে যা দাঁতকে সুস্থ রাখার জন্য জরুরী।
চিনি বিহীন চুইং গাম
আপনি যদি মিষ্টি জাতীয় খাবারে বেশী আগ্রহী হন তবে তা আপনার দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকর । তাই মিষ্টির এই আগ্রহ দূর করতে চিনি বিহীন চুইংগাম কাছে রাখতে পারেন । এটি আপনার মুখে স্যালাইভার প্রবাহ বাড়াবে যা আপনার খাদ্য কনা মুখ থেকে সরিয়ে দেয় । মুখের এসিডিটি কমায় এবং সর্বোপরি  দাঁতের এনামেলকে রক্ষা করে দাঁতকে সুস্থ ও সুন্দর রাখে।
ড্রাই ফ্রুট
যেসব ফল শুকিয়ে রাখা যায় যেমন কিসমিস দাঁতকে সাদা রাখতে সাহায্য করে।
পানি ও চিনি বিহীন পানীয়
পানি আপনার মুখ ও দাঁতকে পরিষ্কার রাখার সবচেয়ে সহজতম উপায়। এটি খাদ্য কনাকে মুখ থেকে দূর করে এবং মুখের এসিডিটি উৎপাদনে বাধা দেয় । দাঁতকে ক্যাভিটি থেকে সুরক্ষায় অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে । আর কোমল পানীয় খেতে চাইলে অবশ্যই চিনি বিহীন কোমল পানীয় পান করুন দাঁতের সুরক্ষার জন্য ।
দাঁত থাকতে আমাদের সবার দাঁতের মর্যাদা রাখতে হবে নয়তো অকালে আপনি আপনার সুন্দর হাসি হারাতে পারেন। দাঁতকে সুন্দর স্বাস্থ্যময় আর ঝকঝকে রাখতে এই নিয়মগুলো মেনে চালুন আর উজ্জ্বল হাসিতে ভরিয়ে রাখুন আপনার পৃথিবী ।
Share:

শীতে ঠোঁটের যত্নে কিছু সহজ টিপস

শীতে ঠোঁটের যত্নে কিছু সহজ টিপস

শীতে ঠোঁট ফাটা আর না !!! শীতে নারী , পুরুষ ,শিশু ও বৃদ্ধ সবাই এই সমস্যার সম্মুখীন হন ।  শীতে ফাটা ঠোঁট নিয়ে হাসা যেমনি কষ্টকর ঠিক তেমনি ফাটা ঠোঁট দেখতেও দৃষ্টিকটু ।কিন্তু একটু সাবধান আর যত্নবান হলেই শীতেও আপনার ঠোঁট থাকবে নরম ,কোমল আর  ফাটামুক্ত । আসুন জেনে নেই এই সহজ টিপস গুলো ।
  •  লিপস্টিক এর ব্যবহার একটু কমাতে হবে। ব্যবহার করলেও হালকা রং এরটাই ভালো,কারণ গাঢ় রঙে লিপস্টিক এ ঠোঁট বেশি কালো হয়ে যায়।
  • ঠোঁটে লিপস্টিক এর পরিবর্তে লিপ আইস ব্যবহার করতে পারেন।
  • ঠোঁটকে সতেজ রাখতে রাতে ঘুমানোর আগে কিংবা সবসময়ই গ্লিসারিন ব্যবহার করুন।
  • সাবান থেকে ঠোঁটকে দূরে রাখুন। ফেসওয়াস কিংবা ক্ষার বিহিন সাবান লাগানো যেতে পারে।
  • মুখের ভেতর পরিস্কার রাখুন, প্রয়োজনে মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।
  • প্রতিদিন দুধ এর সাথে একটু লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান, দেখবেন আস্তে আস্তে ঠোঁটের কালোভাব দূর হয়ে গোলাপি আভা আসবে ।
  • ভালো মানের লিপস্টিক  ব্যাবহার করতে হবে।
  • ঠোঁট ফাটলে চামরা উঠানও যাবে  না ।
  • ঠোঁট ফাটা রোধে সমপরিমান গ্লিসারিন আর লিপজেল মিক্স করে ব্যাবহার করতে  পারেন ।
  • শীতকালে নিয়মিত লিপজেল  বা লিপবাম ব্যাবহার করুন ।
ব্যাস হয়ে গেল ঠোঁটের যত্ন । এবার হাসুন প্রান খুলে শীতের হিমেল হাওয়ায়।
Share:

সহজেই প্রাকৃতিক ভাবে ঘরোয়া ৬টি উপায়ে দূর করুন ঠোঁটের কালচে ভাব

সহজেই প্রাকৃতিক ভাবে ঘরোয়া ৬টি উপায়ে দূর করুন ঠোঁটের কালচে ভাব

সুন্দর, স্বাস্থ্যকর একজোড়া গোলাপি ঠোঁট কমবেশি সবারই কাম্য। সুন্দর গোলাপি ঠোঁট মুখের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে। লিপস্টিক কিংবা লিপবাম ছাড়াই অনেক সুন্দর দেখায়। কিন্তু সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি, ধূমপান, চা/কফি পান এবং বয়স ইত্যাদি বিভিন্ন কারণের আমাদের ঠোঁটে কালচে ভাব চলে আসে। যা খুবই অস্বস্তিকর। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে ঠোঁটে পুনরায় গোলাপি আভা আনতে আছে কিছু প্রাকৃতিক ও সহজ পদ্ধতি। ঘরের কিছু টুকিটাকি ব্যবহার করে ফিরে পেতে পারেন স্বাস্থ্যকর গোলাপি ঠোঁট। জেনে নিন কিভাবে করবেন
১) দুধের সর
দুধের সরের মাধ্যমে ঠোঁটের গোলাপি আভা ধরে রাখার এই পদ্ধতিটি প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। প্রাচীন যুগে রানীরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করতেন। আপনিও এই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার ঠোঁটের হারানো দ্যুতি ফিরে পেতে পারেন। দুধের সরে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। দিনে বেশ কয়েকবার ব্যবহারে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ঠোঁটে ফিরবে গোলাপি আভা।
২) মধু
মধু একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। ঠোঁটের ত্বকও এর ব্যতিক্রম নয়। মধু আপনার ঠোঁট থেকে কালচে ভাব দূর করার সাথে সাথে আপনার ঠোঁটকে কোমল করে তুলবে।
রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য একটু মধু নিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন সারারাত। কয়েক সপ্তাহ এভাবে প্রতিদিন শোবার পূর্বে ঠোঁটে মধু লাগান। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হতে দেখবেন।
৩) লেবুর রস
লেবুর রস খুব ভালো একটি ব্লিচিং উপাদান হিসেবে পরিচিত। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে এটি খুবই কার্যকরী একটি উপকরণ। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে সামান্য লেবু চিপে তাজা রসটি দিয়ে ঠোঁট খুব ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন। নিয়ম মেনে প্রতিদিন এই কাজটি করুন। কয়েকদিনের মধ্যেই ঠোঁটের রঙের পার্থক্য দেখতে পাবেন।
৪) চিনি
প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে চিনি ব্যবহার করা হয় অনেক কাজেই। চিনি দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করলে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হওয়ার সাথে সাথে ঠোঁটের মরা চামড়াও দূর হয়। ত্বকের জন্য স্ক্রাবিং যতটা গুরুত্বপূর্ণ ঠোঁটের জন্যও ঠিক তাই। ৩ চামচ চিনি ও ২ চামচ বাটার একসাথে মিসিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। সপ্তাহে অন্তত ২ বার এই পেস্টটি দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করুন। এতে আপনার ঠোঁটের মরা চামড়া দূর হবে এবং কালচে ভাব দূর হয়ে ঠোঁটে গোলাপি আভা আসবে।
৫) বরফ
অনেকেই বরফের এই গুনটি সম্পর্কে ধারনা রাখেন না। যে কোন দাগের ওপর বরফ ঘষলে দাগ হালকা হয়ে যায়। ঠোঁটে এক টুকরো বরফ ঘষুন প্রতিদিন। এতে আপনার ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে। বরফ ঠোঁটের আদ্রর্তার পরিমান ঠিক রেখে ঠোঁটকে রুক্ষতার হাত থেকেও পরিত্রান দেবে।
৬) বীটরুট
বীটরুট ঠোঁটের রঙ হালকা করা ও উজ্জলতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। বীটরুটের রস ঠোঁটে রক্তিম আভা নিয়ে আসে। তাই তাজা বীটরুটের রস ঠোঁটে লাগিয়ে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে পারেন।
Share:

শীতে ঠোঁটের যত্ন নিবেন কিভাবে

শীতে ঠোঁটের যত্ন নিবেন কিভাবে

শীত কাল এসেছে। এই শীতের প্রভাব আমাদের শরীরে ইতোমধ্যে পড়তে ধরেছে। শীতকালে ঠোঁটের সমস্যায় পড়ে নি, এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন। শীতে বাতাসের আদ্রর্তা কম থাকে বলে আমাদের ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে ঠোঁট ফাটা, ঠোঁটের চামড়া ওঠা, ঠোঁট কালো হওয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময় ঠোঁটের সঠিক যত্ন নিতে হয়। চলুন শীতে ঠোঁটের যত্ন নিবো কিভাবে তার কিছু টিপস জেনে নেই-
  • প্রথমে আমি যেটির কথা বলবো সেটা হল ঠোঁটের স্ক্রাবিং। ঠোঁটে ডেড সেল বা মৃত কোষ এর কারনে ঠোঁট অনুজ্জ্বল দেখায়। তাই ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার জন্য স্ক্রাবিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে স্ক্রাবিং এর জন্য সম পরিমাণ লেবুর রস এবং মধু নিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে ঠোঁটে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন।এরপর আধা চামুচ চিনি হাতের আঙুলে নিয়ে ঠোঁটে আলতো ভাবে ঘষুন।
  • স্ক্রাবিং এর জন্য আপনি ঠোঁটে পুরু করে ভেসলিন লাগিয়ে চিনি দিয়ে আলতো ভাবে ঘুষে ঠোঁটের মৃত কোষ তুলতে পারেন।
  • এছাড়াও টুথপেষ্ট ঠোঁটে লাগিয়ে ব্রাশ দিয়ে আলতো ভাবে ঘুষলেও ঠোঁটের মরা চামড়া ওঠে যায়।
  • ঠোঁটের স্ক্রাবিং এর পর অবশ্যই ঠোঁটের আদ্রর্তা বজায় রাখার জন্য ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার করতে হবে। সেক্ষেত্রে লিপজেল, ভেসলিন, পমেড অথবা পেট্রলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে।
  • ঠোঁটের শুষ্কতা ঢাকার জন্য অনেকে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর চেষ্টা করে। এটা খুব বাজে অভ্যাস । এতে ঠোঁটের শুষ্কতা বেড়ে যায় এবং ঠোঁট ফেটে যায়।
  • ঠোঁটের মরা চামড়া কোন ভাবেই টেনে উঠানো যাবে না। এতে ঠোঁট দিয়ে রক্ত পড়বে।
  • লিপস্টিক ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। শীতে ম্যাট লিপস্টিক এড়িয়ে চলতে হবে। ভিটামিন ই যুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। কম দামি প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না।
Share:

ঠোঁটকে নরম কোমল গোলাপী করে তুলবে একটি মাত্র স্ক্রাব

ঠোঁটকে নরম কোমল গোলাপী করে তুলবে একটি মাত্র স্ক্রাব

নরম কোমল গোলাপী ঠোঁটে সব নারীদের কাম্য। কালো রুক্ষ ঠোঁট মুখের  সৌন্দর্য অনেকখানি কমিয়ে দেয়। বিভিন্ন কারণে নারীদের ঠোঁট কালো হয়ে যায়। ঠোঁট কালো হওয়ার একটি বড় কারণ ধূমপান হলেও আরও কিছু কারণে ঠোঁট কালো হতে পারে। সূর্যের আলো, রুক্ষতা, বংশগত ইত্যাদি কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। আবার যত্নের অভাবে ঠোঁটের উপরের চামড়া মরে ফেটে কালচে ভাব চলে আসে। এই কালো রুক্ষ ঠোঁট গোলাপী করে তুলতে পারেন ঘরোয়া একটি স্ক্রাব ব্যবহার করে। এই স্ক্রাবটি ঠোঁটের মৃত চামড়া দূর করে ঠোঁট গোলাপী করে তুলবে। জেনে নিন লিপ স্ক্রাব তৈরির রেসিপিটি।
যা যা লাগবে:
১ টেবিল চামচ অর্গানিক চিনি
১/২ চা চামচ বিশুদ্ধ নারকেল তেল
১/৪ চা চামচ বাদাম তেল
১/২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
১/৮ চা চামচ বিশুদ্ধ মধু
যেভাবে ব্যবহার করবেন:
১। আঙ্গুল দিয়ে স্ক্রাব নিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করে লাগান।
২। হালকা হাতে ঠোঁট ম্যাসাজ করতে থাকুন।
৩। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪। এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন।
নিয়মিত ব্যবহারে এটি ঠোঁটের মৃত চামড়া দূর করে ঠোঁটকে কোমল, নরম এবং গোলাপী করে তোলে।
Share:

ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করার উপায়

ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করার উপায়

ঠোঁট সৌন্দর্যের প্রতীক, অনেকের ঠোঁট জন্মগত ভাবেই একটু কালচে হয়ে থাকে। এছাড়াও অযত্ন অবহেলা ও কিছু বদঅভ্যাসের কারণে ঠোঁটের স্বাভাবিক গোলাপী ভাব নষ্ট হয়ে তা কালচে ও মলিন হয়ে পরে। কিছু নিয়ম মেনে চললে এবং নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নিলে এই কালচে ভাব অনেকাংশেই দূর করা সম্ভব। সৌন্দর্যের অনেকগুলো দিক আছে যার কোনটি অপূর্ণ থাকলে আপনার রূপের বিকাশ ব্যহত হয়। এমন একটি দিক হলো আপনার ঠোঁট। সেই ঠোঁটের জন্য চাই একটু বেশি যন্ত-আত্তি। যেন আপনার সৌন্দর্যের অভিব্যক্তি হয়ে উঠে আরো মোহনীয়। জেনে নিই ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করার কিছু সহজ পদ্ধতি
১। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে নিচের প্যাকটি ব্যবহার করুন:
ফ্রিজে রাখা কিছুটা ঠান্ডা মুলতানি মাটির সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটিতে তুলো ভিজিয়ে ঠোঁটের ওপর হালকা ভাবে ঘষে দশ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২। যাদের ঠোঁট জন্মগত ভাবেই শুষ্ক তারা ঠোঁটে সবসময় চ্যাপস্টিক বা লিপবাম ব্যবহার করবেন।
৩। সামান্য দুধের সর বেঁটে অথবা কাচা দুধের উপর জমে থাকা ননী মাঝে মাঝে ঠোঁটে লাগাবেন, এতে ঠোঁট নরম থাকবে।
৪। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে ক্লিনজিং মিল্ক বা কোল্ড ক্রীম লাগিয়ে কিছু সময় পর ভেজা তুলো দিয়ে মুছে ফেলুন তারপর হালকা নারিশিং ক্রীম লাগিয়ে ঘুমাতে যান।
৫। ঠোঁট কখনো খুব বেশি সময় শুষ্ক রাখবেন না।
৬। ঠোঁটকে সতেজ রাখতে সবসময় গ্লিসারিন ব্যবহার করুন।
৭। সাবান থেকে ঠোঁটকে দূরে রাখুন। ফেসওয়াস কিংবা ক্ষার বিহিন সাবান লাগানো যেতে পারে।
৮। মুখের ভেতর পরিস্কার রাখুন, প্রয়োজনে মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।
৯। প্রতিদিন দুধ এর সঙ্গে একটু লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান, দেখবেন আস্তে আস্তে ঠোঁটের কালোভাব দূর হয়ে যাবে। -এটা সপ্তাহে দুবার করে ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।
১০। কোথাও দাওয়াত খেতে যাওয়ার আগে লিপস্টিক লাগানোর পর একটা পাফে সামান্য ট্যালকম পাউডার নিয়ে ঠোঁটের ওপর আলতো চাপ দিয়ে লাগান। এতে লিপস্টিক ঠোঁটের উপর বসে থাকবে।
Share:

জেনে নিন লিপস্টিক ব্যবহার করার সঠিক উপায়

জেনে নিন লিপস্টিক ব্যবহার করার সঠিক উপায়

চেহারায় প্রাণ ফিরিয়ে আনতে লিপস্টিকের জুড়ি নেই। লিপস্টিক জিনিসটি যেকোনো নারীরই ভীষণ পছন্দের। মেকআপও পূর্ণতা পায় না লিপস্টিক ছাড়া। কোন লিপস্টিকে ভালো দেখাবে, কীভাবে দিলে ভালো দেখাবে – এসব নিয়ে মাঝে মাঝেই দোটানায় পড়ে যান? আপনার জন্যই রইলো লিপস্টিক লাগানোর কিছু খুঁটিনাটি টিপস।
১) লিপস্টিক লাগাবেন যেভাবে
– ঠোঁটে প্রথমে পাউডার লাগিয়ে নিন। তারপর লিপস্টিক লাগান। বেশিক্ষণ লিপস্টিক থাকবে।
– প্রথমে লিপলাইনার বেছে নিন। যে রঙের লিপস্টিক লাগাবেন তার চেয়ে একশেড গাঢ় রঙের লিপলাইনার বেছে নিন।
– লিপলাইন দিয়ে ঠোঁট আউটলাইন করুন। ঠোঁটের সেন্টার পয়েন্ট থেকে আউটার কর্নারের দিকে লিপলাইনার লাগান।
– ওপরের ঠোঁটের একেবারে শেষ পর্যন্ত লিপলাইনার টেনে লাগাবেন না।
– নিচের ঠোঁটে এমনভাবে লিপলাইনার লাগান যাতে ওপরের ঠোঁটের লিপলাইনকে স্পর্শ করে।
– লিপ ব্রাশ দিয়ে লিপস্টিক লাগাতে পারেন। ঠোঁটের শেপ ভালো বোঝা যাবে। সেন্টার থেকে আউটওয়ার্ড স্ট্রোকে লিপ ব্রাশ লাগান। অতিরিক্ত লিপস্টিক টিস্যুপেপার দিয়ে মুছে নিন।
– লিপস্টিক না লাগিয়ে শুধু লিপগ্লস লাগাতে চাইলে লিপ ব্রাশ দিয়েই লাগান।
– ত্বকে বলিরেখার সমস্যা থাকলে ডার্ক শেডের লিপস্টিক যেমন ডার্ক মেরুনের মতো লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। আরো রুক্ষ দেখাবে।
– লিপস্টিক লাগানোর পর আয়নার দিকে তাকিয়ে মুখ খুলে হাসুন। সহজে বুঝতে পারবেন ঠোঁটের পুরোটা কভার আপ হয়েছে কি না।
২) আপনাকে বেছে নিতে হবে লিপস্টিকের সঠিক শেড
– গায়ের রঙ চাপা হলে পিংক বা পিচের মতো হালকা শেডের লিপস্টিক না লাগানোই ভালো। ফ্লুরোসেন্ট কালারও ব্যবহার করবেন না।
– গায়ের রঙে হলদে ভাব থাকলে অরেঞ্জ শেডের লিপস্টিক লাগাবেন না। ব্রাউন, কপার, ব্রোঞ্জ, কোরাল, ব্রিক রেডের মতো রঙ বেছে নিন। এগুলো সব ধরনের ত্বকের উপযোগী।
– রাতের অনুষ্ঠানের জন্য ডার্ক রেড ব্যবহার করুন। তবে খুব ডার্ক কালার যেমন ডার্ক মেরুন ব্যবহার করবেন না। ডার্ক রেড, বারগেন্ডি, ডিপ কোরাল, প্লাম, ওয়াইন রেডের মতো রঙ ব্যবহার করতে পারেন।
Share:

প্রাকৃতিক উপায়ে আকর্ষণীয় ও বড় করে নিন আপনার চোখের পাপড়ি

প্রাকৃতিক উপায়ে আকর্ষণীয় ও বড় করে নিন আপনার চোখের পাপড়ি

আমরা মেকআপের মাধ্যমে চোখের পাপড়ি বড় করে থাকি । কেউ কেউ মোটা করে মাশকারা ব্যবহার করেন আবার কেউ ফলস আইল্যাশ লাগান ।চোখের পাপড়ি ঘন এবং একটু বড় হলে পুরো চোখের আকারই বদলে যায়। কেমন হয় যদি সত্যিকারের চোখের পাপড়িই ঘন এবং বেশ বড় করে ফেলা যায়? ব্যাপারটি একেবারেই কঠিন কিছু নয়। ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন উপায়ে খুব সহজেই চোখের পাপড়ির আকার বড় করে নেয়া সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই সহজ উপায় গুলো
১) পেট্রোলিয়াম জেলির ব্যবহার
একইভাবে রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে মাশকারার ব্রাশে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে মাশকারা দেয়ার মতো চোখের পাপড়িতে লাগিয়ে নিন। পুরো রাত এভাবে রেখে সকালে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
২) লেবুর খোসার ব্যবহার
চোখের পাপড়ি বড় করার জন্য লেবুর খোসার ব্যবহারও অনেক সহজ। সামান্য অলিভ অয়েল বা আমন্ড অয়েলে লেবুর খোসা দিয়ে তা গরম করে নিন। ৩-৪ বার শুধু গরম করবেন। লক্ষ্য রাখবেন তেল যেনো ফুটে না যায়। এরপর এই তেলটি মাশকারা ব্রাশের সাহায্যে মাশকারা দেয়ার মতো চোখের পাপড়িতে লাগিয়ে নিন। পুরো রাত এভাবে রেখে সকালে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
৩) অলিভ অয়েলের ব্যবহার
একটি পুরনো মাশকারার ব্রাশ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। এরপর রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে এই মাশকারার ব্রাশ অলিভ অয়েলে ডুবিয়ে মাশকারা দেয়ার মতো চোখের পাপড়িতে লাগিয়ে নিন। পুরো রাত এভাবে রেখে সকালে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এভাবে নিয়মিত ২-৩ মাসের মধ্যেই দেখতে পাবেন পরিবর্তন। একই ভাবে ক্যাস্টর অয়েল ও আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াওঃ
* চুল সঠিকভাবে এবং নিয়মিত আঁচড়ানো যেমন চুল বৃদ্ধিতে সহায়ক, একইভাবে চোখের পাপড়িও বৃদ্ধি সম্ভব। নিয়মিত চোখের পাপড়ি আঁচড়ে নেবেন।
* অতিরিক্ত মাত্রায় আইল্যাশ কালার ব্যবহার করবেন না। এতে চোখের পাপড়ির ক্ষতি হয়।
* ভিটামিন ই চোখের পাপড়ি বড় করতে সহায়তা করে।
Share:

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে চোখের ব্যায়াম!

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে চোখের ব্যায়াম!

চোখ আমাদের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু আমরা অনেকেই চোখের যত্ন নিতে ভুলে যাই। দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখার জন্য শুধুমাত্র কিছু খাবার খেলেই চোখের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে না। চোখের জন্য দরকার বাড়তি যত্ন।কেননা, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। অতি সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চার পাশাপাশি চোখের নিয়মিত যত্ন নিলে ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’ নামের চোখের মারাত্মক অসুখ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
যারা ২৪ ঘন্টা কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন ইত্যাদির দিকে তাকিয়ে বসে থাকেন তাদের জন্য চোখের ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরী।বই পড়া, লেখালেখি কিংবা দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করার সময় চোখের ওপর চাপ পড়ে। তাই প্রতি ২০ মিনিট পর পর ২০ সেকেন্ড চোখের বিশ্রাম জরুরি।

তাই চোখের স্বাস্থ্যরক্ষায় জেনে নিন কিছু সহজ ও কার্যকরী চোখের ব্যায়াম এবং এর উপকারিতা।
চোখের ব্যায়ামের উপকারিতাঃ
•দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
•চোখেকে যে কোনো রোগে আক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা করে
•দ্রুত চোখ শুকিয়ে যাওয়া রোগের প্রতিকার করে
•চোখের কটকটে ভাব দূর করে
•মনোযোগ বৃদ্ধি করে
ব্যায়াম-১:
কাজের ফাঁকে খানিকটা সময় চোখ বন্ধ করে রাখুন। হাতে হাত ঘষে হাতের তালু কিছুটা গরম করে নিয়ে বন্ধ চোখের ওপর রাখুন। হাতের তালু এমনভাবে রাখবেন যাতে ভেতরে কোনো আলো না যেতে পারে। ২ মিনিট এভাবে চোখ বন্ধ রাখুন। দিনে বেশ কয়েকবার এভাবে করুন।
ব্যায়াম-২:
যারা কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন বেশি মাত্রায় ব্যবহার করেন তাদের চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। তাদের জন্য ব্যায়াম হচ্ছে একটানা না তাকিয়ে থেকে ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলা। কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় সাধারণের তুলনায় ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলুন। এতে চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
ব্যায়াম-৩:
রাতে ঘুমানোর সময় বিছানায় শুয়ে এই ব্যায়ামটি করবেন। চোখ বন্ধ করে চোখের পাতা আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। ভ্রুর নিচের দিকটা এবং চোখের নিচের দিক এভাবে ২ মিনিট ম্যাসাজ করে নিন।
ঘুম চোখকে পরিপূণ বিশ্রাম ও পুনর্দৃষ্টির জন্য শক্তি দেয়। অপর্যাপ্ত ঘুম দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। চোখের সুরক্ষার জন্য প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
** সমস্ত  তথ্য ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত **
Share:

মেকআপের মাধ্যমে নজরকাড়া সুন্দর চোখ

মেকআপের মাধ্যমে নজরকাড়া সুন্দর চোখ

আমরা অনেকেই চোখের উজ্জ্বলতা সমস্যায় হতাশ হয়ে পড়ি । কিন্তু সামান্য কিছু মেকআপ পরিবর্তন করে দিবে আপনার চোখের এবং ফিরিয়ে আনবে বাড়তি উজ্জ্বলতা । এসব মেকআপের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার চোখ করে তোলা সম্ভব উজ্জ্বল। জেণে নিন কীভাবে করবেন নজরকাড়া সুন্দর চোখ
১)ডার্ক সার্কেল ঢেকে দিন
আপনার চোখের ভেতর যদি কালো সার্কেল থাকে তাহলে সঠিক ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে আপনার চোখ উজ্জল দেখানো সম্ভব। এর কারণ ডার্ক সার্কেলগুলো মাস্কের ভেতর চাপা পড়বে এবং উজ্জ্বল দেখাবে আপনার চোখ। এজন্য আপনার ত্বকের রঙের অনুরূপ বা খুবই কাছাকাছি রঙের ফাউন্ডেশন পছন্দ করতে হবে। অন্য রঙের ফাউন্ডেশনে তা সম্ভব নয় এজন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে উজ্জ্বল চোখ সহজেই ধরা পড়বে।
২)শিমার
এখানে গ্লিটারের কথা বলা হচ্ছে না। শিমার ব্যবহার করে আপনার চোখ খোলা সম্ভব! এতে উজ্জ্বলতাও অনেক বাড়বে। এজন্য আপনার প্রিয় আই শ্যাডো শেডের সঙ্গে কিছু স্পার্কল ব্যবহার করুন। তবে এর মাত্রা হতে হবে সামান্য পরিমাণে। চোখের কিনারের দিকে ও ভ্রুর নিচে শিমার ব্যবহার করুন। এজন্য হালকা শেড যেমন আইভরি ও পেল পিংক ভালো কাজে দেবে।
৩)আপনার ভ্রুর আকার ঠিক করুন
অনেক মেয়েকে সম্পূর্ণ ভ্রুতে সুন্দর লাগে। আবার অনেক মেয়ের ভ্রু কিছুটা পরিবর্তন করলে ভালো দেখায়। পুরু ভ্রু থাকলে তার প্রভাব চোখেও পড়ে এবং ভারি ও ডার্ক দেখা যায়। তার বদলে হালকা ভ্রুতে উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং আপনাকে ভিন্নভাবে দেখাবে।
৪)গালে দিন পিংক ব্লাশ
পিংক রঙের ব্লাশ ব্যবহার করতে পারেন আপনার গালে। গালের অ্যাপলের ঠিক উপরের অংশে হালকা রঙের এ ছোঁয়া আপনার গালকেই শুধু সুন্দর করবে না, এতে আপনার চোখের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
৫)কালো আইলাইনার
অনেকেই এ কথায় অবাক হয়ে উঠবেন। অনেক মেকআপ এক্সপার্টই কালো আইলাইনার ব্যবহার করে চেখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারেন। এখানে কৌশলটা হলো, খুব চিকন একটি লাইন চোখের উপরের ও নিচের পাতার ভেতরের অংশ দিয়ে টেনে দিতে হবে। এজন্য কিছু অনুশীলন করা প্রয়োজন। হঠাৎ করে শুরু করলে এতে কিছুটা গণ্ডগোল হয়ে যেতে পারে।
৬)চোখের পাপড়ি কার্ল করুন
আপনার চোখের পাপড়ি বাইরের দিকে নিয়ে কিছুটা উঁচু করে দিন। এতে তাদের বড় ও পূর্ণ দেখাবে। এতে আপনার চোখ খোলা বলে মনে হবে এবং উজ্জ্বল দেখাবে। এজন্য সাবধানে আপনার উপরের পাপড়িগুলো কার্ল করতে হবে সাবধানে। এরপর সেগুলোতে ভালো করে মাসকারা প্রয়োগ করতে হবে।
Share:

শীতে, চোখের যত্ন নিন

শীতে, চোখের যত্ন নিন

শীতকালে সাধারণত চুল ও ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়। কিন্তু, চুল, ত্বক ছাড়াও শীতে বিশেষভাবে চোখের যত্নও নেওয়া ভীষণ দরকারি। এবার জেনে নিন কীভাবে নেবেন চোখের যত্ন-

১) চশমা বা গগোলস ব্যবহার করুন। শীতকালে প্রধানত হাওয়া বইতে থাকলে বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই চশমায় চোখ ঢেকে বেড়বেন। চশমার ধারগুলো যদি ঢাকা থাকে তাহলে আরও ভাল।
২) প্রচুর পরিমানে জল খান। অবে আপনি চাইলে তরল স্যুপও খেতে পারেন। এর ফলে চোখ সিক্ত থাকে।

আরও পড়ুন- শীতে ঠান্ডা জলেই স্নান করুন, কেন?

৩) ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ মাছের তেল খেতে পারলে চোখের জন্য তা খুবই উপকারি। কারণ, এর ফলে চোখে জলীয় পদার্থ তৈরি হয় বেশি করে এবং ড্রাই আই-এর প্রবণতা কমে যায়।
৪) যদি আপনার ড্রাই আই-এর সমস্যা থেকে থাকে তাহলে চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন। তবে অবশ্যই সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেয়াটা জরুরী।
Share:

চোখের সুস্থতায় ১৮টি করণীয় জেনে রাখুন

চোখের সুস্থতায় ১৮টি করণীয় জেনে রাখুন

১. প্রথমেই খাবারের কথা বলতে হয়। খাদ্য তালিকায় প্রচুর মাছ রাখুন। এতে প্রচুর ওমেগা-৩ রয়েছে।

২. চোখের সমস্যা নিয়মিত হলে নিয়মিত বিশেষজ্ঞের কাছে চোখ দেখান।

৩. মাঝে মাঝে চোখ পিটপিট করা চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। নিয়মিত চোখ পরিষ্কার রাখুন। প্রতি তিন-চার সেকেন্ডে একবার চোখের পাতা বন্ধ ও খোলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৪. চোখকে আরাম দিন। যেমন দুই হাতের তালু ঘষে তাপ উৎপন্ন করে তা দুই চোখে ধরুন। এতে চোখ জ্বলা কমে যাবে এবং আরাম বোধ করবেন।

৫. আমরা সাধারণত কাছের বস্তুতে দৃষ্টি দিতে অভ্যস্ত।
দূরে দৃষ্টি দিন। হাঁটতে বা বসে দূরে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করুন।

৬. সূর্যের আলো চোখের ফ্রি চিকিৎসা দেয়। তবে প্রখর রোদ নয়। খুব সকালের এবং শেষ বিকেলের আলো চোখের যত্ন নেয়।

৭. অনেকে চোখে ঝাপসা দেখেন। পানির ঝাপটা নিয়ে এ থেকে মুক্তি মিলতে পারে। শুষ্ক অবস্থার কারণে সাধারণত এমনটা ঘটে।

৮. আর্দ্রতাবিহীন বাতাস থেকে চোখ দুটি দূরে রাখুন। শুকনো বাতাস চোখের বাষ্প শুষে নেয়। তাই এয়ারকন্ডিশনারের বাতাস থেকে চোখ আগলে রাখা উচিত।

৯. যেকোনো আঘাত ও ধুলোবালি থেকে চোখের নিরাপত্তা দিতে গগলস পরুন।

১০. কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও টেলিভিশনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখুন।

১১. নিয়মিত ডিম খেলে দেহে লুটেনের সরবরাহ ঘটে। এসব উপাদান চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ন করে।

১২. সুযোগ পেলেই চোখে পানি দিন। মুখ ধোয়ার সময় চোখে বেশি বেশি পানি দিন। এতে চোখের ধুলো পরিষ্কার হবে।

১৩. ধূমপান চোখের জন্য ক্ষতিকর। তাই এটি ত্যাগ করুন।

১৪. চোখে মেকআপ ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। যদি নিয়েই থাকেন তবে যত দ্রুত সম্ভব ধুয়ে ফেলুন।

১৫. প্রচুর পালং শাক খান। এতে বহু ধরনের পুষ্টি উপাদান ও লুটেন রয়েছে। নানা সমস্যা দূর করবে পালং শাক।

১৬. কাজের ফাঁকে একটু বিরতি নিন।

১৭. চোখ যখন কাজ করতে করতে ক্লান্ত, তখন একটু ম্যাসাজে উপকার মেলে। বিশেষ করে মাথায় হালকা ম্যাসাজ করলে ভালো বোধ করবেন।

১৮. ঘুমের অভাবে মাথা ও চোখে ব্যথা হয়। ঘুমালেই চোখ শান্তি পাবে।
Share:

চোখের পাশের বলিরেখা মুছার অসাধারণ কৌশল

চোখের পাশের বলিরেখা মুছার অসাধারণ কৌশল

চোখের আশেপাশে বয়সের ছাপ সবার আগে পড়ে জানেন?! ত্রিশের পর থেকেই চোখের আশেপাশের ত্বকে ভাঁজ পড়তে শুরু করে। যারা বেশী রোদে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া শুরু হয় আরও জলদি। উপায় একটাই, সেটা হচ্ছে সময় থাকতেই সচেতন। চোখের পাশের এই বলিরেখা অল্প হোক বা বেশী, আজকের এই টিপস দুটি আপনার কাজে আসবে খুব। খুব সহজে ম্যাজিকের মত মুছে দেবে আপনার চোখের পাশের সব ভাঁজ।
মধুর একটি জাদুকরী প্যাক
-১ টেবিল চামচ মধু হালকা গরম করে নিন। এই গরম মধুর সাথে একটা ডিমের কুসুম ভালো করে মেশান।
-সাথে যোগ করুন মিহি করে গুঁড়ো করা ওটস ১ টেবিল চামচ। মিশ্রণ বেশী ঘন হয়ে গেলে কাঁচা দুধ যোগ করুন।-এবার এই মিশ্রণ চোখের আশেপাশে মেখে রাখুন ঠিক ১০ মিনিট। একটুও বেশী রাখবেন না।
– ১০ মিনিট পর প্রথমে উষ্ণ পানি ও পড়ে সাধারণ পানি দিয়ে মুখে ধুয়ে ফেলুন।
মাত্র এক মাস অবলম্বন করে দেখুন এই পদ্ধতিগুলো সপ্তাহে ৩ বার করে। আর দেখুন কেমন ম্যাজিকের মত তারুণ্যে ভরে উঠেছে আপনার চেহারা
রুটি ও মাখনের প্যাক
-পাউরুটি হাত দিয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো করে নিন।
-এবার মাখন চুলায় বা ওভেনে দিয়ে গলিয়ে নিন।
-এই মাখন দিয়ে রুটির গুঁড়োর একটা মোলায়েম পেস্ট তৈরি করুন।
-এই পেস্ট চোখের পাশে মাখিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। শুকিয়ে গেলে আলতো করে তুলে ফেলুন। পানি দিয়ে ধোবেন না। কমপক্ষে ৫/৬ ঘণ্টা পর মুখে পানি লাগান।
-মাখনের বদলে হালকা গরম নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
Share:

চোখের যত্নে আই ক্রিম

চোখের যত্নে আই ক্রিম 

চোখের কোণে কালি পড়েনি এমন মানুষ আজকাল খুব কমই দেখা যায়। যান্ত্রিক জীবনের সাথে পাল্লা দিতে দিতে এই ক্লান্ত শ্রান্ত চোখ জোড়ার চারপাশ নির্জীব হয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কালো হয়ে ওঠে চোখের নীচের ত্বক। তখন কোন ক্রিম ব্যবহার করবেন কোথা থেকে কিনবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারেন না। তাই আজ আমি ডার্ক সার্কেল রিমুভ করার জন্য কয়েকটি আই ক্রিমের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। এর মধ্যে কিছু আছে যেগুলো আমি ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবহার করে বেশ উপকার পেয়েছি। তবে বলে রাখা ভালো আমি যে প্রোডাক্ট দ্বারা উপকার পেয়েছি সেটা দিয়ে যে আপনিও উপকার পাবেন এমন কোন কথা নেই। তবে হ্যাঁ যেহেতু চোখের ব্যাপার তাই চেষ্টা করবেন সব সময় একটু ভালো মানের ক্রিম কিনতে। কারণ আমরা সবাই জানি চোখের চারপাশের ত্বক অনেক নাজুক হয় তাই এর সাথে কোন কম্প্রমাইজ করা চলবে না। এবার চলুন কয়েক কোম্পানির আই ক্রিমের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই।
Clinique Al about Eyes Rich:
আমি যে ক্রিম ব্যবহার করে উপকার পেয়েছি সেটা দিয়েই শুরু করছি। এ ক্রিমটি টানা ৩ মাস রাতে ঘুমানোর আগে চোখের নীচে লাগিয়ে নিতাম। এর ক্রিমি texture আমার চোখে দিত তুলতুলে নরম অনুভূতি। ৩ মাস পরের ফলাফল দেখে নিজেই অনেকটা অবাক হয়েছিলাম। Al about Eyes Rich এর hydration scale অনেক high, তাই কারো যদি চোখের নীচের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় সেটিও সেরে যাবে সহজে। দামটাও হাতের নাগালের মধ্যে। আমি Clinique এর দোকান থেকেই কিনেছিলাম ৳২৪.৯৫ এ। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২০০০ টাকা। কিন্তু আপনাদের যদি সেভাবে কালেক্ট করতে সমস্যা হয় তবে অনলাইন অর্ডার করতে পারেন।
Revitol Eye Cream:
Revitol ব্র্যান্ড স্কিন প্রোডাক্ট গুলোর জন্য অনেক বেশি জনপ্রিয়। বর্তমানে এ ক্রিমটি ডার্ক সার্কেল দূরীকরণ সকল ক্রিমের মধ্যে শীর্ষ তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। চোখের কোণের কালি দূরীকরণের সাথে সাথে চোখের ফোলা ভাব কমাতেও সহায়ক এটি। আপনি amazon.com অথবা ebay.com এর মাধ্যমে ৬৯.৯৫ ডলারে মানে ৫৬০০ টাকায় পেতে পারেন এই সাড়া জাগানো ক্রিমটি ।
Vivite Revitalizing Eye Cream:
এই ক্রিমটির সবচেয়ে উপকারী দিক হলো এর মধ্যে ক্যাফেইন বিদ্যমান। যা চোখের কালো দাগ তো দূর করার পাশাপাশি চোখের চারপাশে থাকা রিঙ্কেলও গায়েব করে দেয়। অনলাইন অর্ডারের মাধ্যমে ৩৩.০০ ডলারে (২৬৪০ টাকা) পেতে পারেন এই ক্রিমটি।
Neutragena Healthy Skin Eye Cream:
ক্লিনিক্যালি প্রমাণিত হয়েছে যে Healthy Skin Eye Cream চোখের নীচের কালি দূর করার জন্য অনেক বেশি উপকারী। কালো দাগ দূর করার সাথে সাথে চোখের চারপাশের ত্বকের-ও যত্ন নেয় ক্রিমটি। আলমাসে এর দাম পড়বে ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে।
CytoCell’ Dark Circle Corrective Eye Cream:
ব্যয়বহুল ডার্ক সার্কেল রিমুভার এর মধ্যে এই ক্রিম একটি। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে চোখের নীচের কালো দাগ দূর করার ক্ষেত্রে এর কোন জুড়ি নেই। রিসার্চে দেখা গিয়েছে মাত্র ৪ সপ্তাহের ভেতর নাটকীয় ভাবে চোখের কালো দাগ দেখা না যাওয়ার বরাবর হয়ে যায়। যদি খুব জলদি আপনার বিয়ের পিঁড়িতে বসার সম্ভাবনা থাকে আর চোখের নীচের কালো দাগ নিয়ে আপনি বিব্রত অবস্থায় না পড়তে চান তাহলে এই ক্রিম কিনতে পারেন। sephora.com থেকে এই ক্রিম অর্ডার দিতে আপনার গুনতে হবে ৭৫ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় কনভার্ট করলে হয় প্রায় ৬০০০ টাকা।
Clinique Even Better Eyes Dark Circle Corrector:
এ আই ক্রিমটি আমার মা ব্যবহার করে অনেক উপকার পেয়েছেন। দেখতে অনেকটা ফাউনডেশনের মত। ক্রিমটি অনেক হালকা ওজনের তাই চোখের চারপাশে লাগিয়ে ঘুমালে আপনার কোন ধরনের অস্বস্তি অনুভব হবে না। এতে আছে ক্যাফেইন যা চোখের ফোলা ভাব কমানোর জন্য খুব কার্যকরী আর আছে গ্রিন টি এক্সট্র্যাক্ট। এটি পাবেন ক্লিনিকের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে অথবা বেল্ক বা মেসির ওয়েব সাইটে। ক্রিমটির দাম পড়বে ৩৯.৫০ ডলার বা প্রায় ৩২০০ টাকা। বাংলাদেশের আলমাসেও এই প্রোডাক্টটি পাওয়া যাবে। তবে সেক্ষেত্রে দামটা আরেকটু বেশি পড়বে।
Olay Total Effects Eye Transforming Cream:
কিছু দিন আমি এই ক্রিমটি ব্যবহার করেছিলাম কিন্তু তেমন কোন উপকার পাইনি অথচ আমারই পরিচিত অনেকের ডার্ক সার্কেল লুকিয়ে দিয়েছে এই আই ক্রিমটি। এ ক্রিম চোখের চারপাশের ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। এ ক্রিমে আছে শশা আর এলোভেরা এক্সট্র্যাক্ট। ক্রিমটির texture কিছুটা কন্সিলারের মত। ক্রিমটি প্রিয় বা আলমাসে সহজে পেয়ে যাবেন। দাম হবে ১২০০-১৫০০ টাকার মধ্যে।
এ আই ক্রিমগুলো সব ধরনের ত্বকের অধিকারীরা অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ১৫ বছর বয়স হলে ব্যবহার করা উচিত। ভাবছেন এতো কম বয়সে ব্যবহার করা কি ঠিক হবে? ভয়ের কোনও কারণ নেই। চোখের জন্য বানানো হয় বলে এই প্রোডাক্টগুলো অনেক সাবধানতার সাথে বানানো হয়। সব শেষে ছোট একটি টিপস দিতে চাইব। চোখের চারপাশে আই ক্রিম লাগানোর আগে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিবেন। এতে যে ক্রিম দেয়া হোক না কেন সেটি ত্বক ভালো ভাবে শোষণ করে আর তার কার্যকারিতা অনেক খানি বেড়ে যায়।
**সমস্ত তথ্য ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত **
Share:

আইশ্যাডো ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব ভুল সবসময় এড়িয়ে চলা উচিত

 আইশ্যাডো ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব ভুল সবসময় এড়িয়ে চলা উচিত

 পার্টি বা উৎসবের সময় নারীরা একটু আধটু সাজগোজ না করলেই নয়। আর পুরো মেকআপ আইশ্যাডো ছাড়া একেবারেই অপূর্ণ। কিন্তু যারা পার্লারে না গিয়ে নিজে নিজে সাজগোজ করেন তারা আইশ্যাডো লাগাতে গিয়ে একটু ভুল করে ফেলেন যার কারণে পুরো মেকআপই নষ্ট হয়ে যায়। তাই জেনে নিন আইশ্যাডো ব্যবহারের সময় এড়িয়ে চলা উচিত যে ভুলগুলো।
১) আইশ্যাডো প্যালেটের ছোট্ট ব্রাশ দিয়ে ব্লেন্ড করা
আইশ্যাডো প্যালেট কিনলে তার সাথে ছোট্ট ব্রাশ পাওয়া যায়। এটি মূলত আইশ্যাডো লাগানোর ব্রাশ। অনেকে এই ব্রাশ দিয়েই ব্লেন্ড করার মতো ভুলটি করে থাকেন। এই কাজটি করবেন না। আইশ্যাডো ব্লেন্ডার ব্রাশ দিয়েই ব্লেন্ড করুন। এতে করে পারফেক্ট ভাবে ব্লেন্ড করতে পারবেন।
২) ভালো করে ব্লেন্ড না করা
আইশ্যাডো যদি ভালো করে ব্লেন্ড না কর হয় তাহলে তা চোখের পাতায় ভেসে থাকে যা দেখতে বেশ বিশ্রী দেখায়। বিশেষ করে যদি ২/৩ টি রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করে ভালো করে ব্লেন্ড না করা হয় তাহলে তা আলাদা করে বোঝা যায় যা পুরো মেকআপ নষ্ট করে দেয়। সুতরাং আইশ্যাডো ব্লেন্ড করার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
৩) আইশ্যাডো ব্যবহারের আগে কনসিলার লাগানো
অনেকেই ডিম আগে না মুরগী আগের মতো আইশ্যাডো আগে না কনসিলার আগে ব্যাপারটির মধ্যে গণ্ডগোল করে ফেলেন ফলে আইশ্যাডো সঠিকভাবে লাগানো হয় না। তাই মনে রাখুন, প্রথমে আইশ্যাডো লাগিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন এবং তার পর কনসিলার ব্যবহার করুন।
৪) চোখের নিচের পাতায় বেশি আইশ্যাডোর ব্যবহার
চোখের নিচের পাতায় অনেকেই বেশ গাঢ় করে এবং মোটা করে আইশ্যাডো ব্যবহার করেন যার ফলে আপনাকে অনেক ক্লান্ত দেখায়। চোখের নিচের পাতায় শুধুমাত্র চোখের পাপড়ির কোল ঘেঁষে হালকা করে আইশ্যাডো দিন।
৫) চোখের রঙের সাথে মিলিয়ে আইশ্যাডো দেয়া
অনেকেই পছন্দের রঙের লেন্স পড়ে লেন্সের রঙের সাথে মিলিয়ে চোখে আইশ্যাডো দিয়ে থাকেন যা সম্পূর্ণ ভুল। নিয়ম অনুযায়ী চোখের রঙের উল্টো রঙটিই আইশ্যাডো দেয়া উচিত নতুবা মেকআপ ভালো দেখাবে না।
Share:

চোখের দৃষ্টি এবং সৌন্দর্য অটুট রাখার টিপস

চোখের দৃষ্টি এবং সৌন্দর্য অটুট রাখার টিপস

সবার চোখ মনের কথা বলুক বা নাই বলুক, তাই বলে চোখ দুখানি মলিন হয়ে থাকবে এমনটা তো কেউই চাইবেন না!
মুখের ত্বকের যত্নে অনেক মনোযোগী মানুষও প্রায় সময়ই তাদের চোখের কথা বেমালুম ভুলে যান। চোখের দেখভালের খবর মনে পড়ে তখনই, যখন চোখ নিয়ে কোন সমস্যায় পড়েন।
দীর্ঘদিনের অবহেলায় যখন চোখে মলিনতার ছাপ বসে যায়, হঠাৎ একদিন খুব যত্নে সাজানো মুখটাতে চোখগুলো কেমন প্রাণহীন লাগতে থাকে বা ডার্ক সার্কেলের আনাগোনা শুরু হয়, তখন খেয়ালে আসে চোখের কথা। কিন্তু আসলেই কি চোখ এমন হেলাফেলায় রেখে দেয়ার মতন বিষয়? ভাবুন তো একবার, যে চোখে আপনি দুনিয়া দেখছেন সেই চোখ দুটি দেখতে এমন মলিন লাগবে কেনো?
শরীরের সার্বিক দেখভালের মধ্যেই চোখের যত্ন নেয়ার বিষয়টি হিসেব করে রাখুন। প্রতিনিয়ত যত্ন নিন চোখের। তাতে আপনার দৃষ্টি এবং সৌন্দর্য সবই অটুট থাকার সম্ভবনা বজায় থাকবে।
চোখের যত্নে মেনে চলতে পারেন যেসব টুকিটাকি পরামর্শ-
  • ব্যায়াম আছে আপনার চোখের জন্যেও। মাঝেমাঝে বন্ধ চোখের একদম উপরের অংশে, অর্থাৎ ভ্রূর কোল ঘেঁষে নিচে এবং চোখের নিচের অংশে আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন। দুই বা চার আঙ্গুলের সাহায্যে ধীরে ধীরে এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করুন এক মিনিট মতন সময় নিয়ে। ঠিক চোখের পাতায় কখনো হাত দিয়ে বেশি চাপ দিতে যাবেন না, তাতে উল্টো ক্ষতিই হতে পারে চোখের। তাছাড়া সরাসরি চোখে হাত দিয়ে চোখ রগড়ানোর অভ্যাস থাকলে সেটা অবশ্যই ছাড়তে হবে।
  • দুই হাতের তালু একসাথে করে ঘষুন। হাতে উত্তাপ টের পেলে তখন ওই হাত নিয়ে বন্ধ চোখের পাতায় লাগিয়ে রাখুন। চোখের আরাম হবে অনেক।
  • সবাই জানেন, যান্ত্রিক পর্দায় একটানা অনেকটা সময়ের দৃষ্টিপাত চোখের জন্য কতোখানি ক্ষতিকর। কিন্তু এই অভ্যাস তবুও কমবেশি সবার মধ্যেই থাকে, থেকেই যায়। এখন টেলিভিশন, মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার হচ্ছে  যেকোন সময় চোখের সামনে চলতে থাকার সামগ্রী। কাজেই এর ভেতরে থেকেও চোখের সুরক্ষার কথা মাথায় রাখা উচিত। অন্তত আধাঘন্টা অন্তর অন্তর চোখদুটোকে বিশ্রাম দিন। বন্ধ করে রাখুন চোখ। এই বিশ্রামের সময়সীমা কমপক্ষে আধা মিনিট হওয়া লাগবে। যদি সম্ভব হয় তবে এক/দুই মিনিট বন্ধ রাখুন চোখ।
  • চোখের সুরক্ষায় সবসময়ই চোখকে যথেষ্ট আর্দ্র রাখতে হবে। কাজেই দিনে যতোবার সম্ভব হবে চোখে পানির ঝাপটা দিন। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করুন, খুব দরকার না হলে অযথাই বেশি শীতল পানি দিয়ে চোখ ধোয়ার দরকার নেই। এবং অবশ্যই বেশি করে পানি পান করুন। পানির মাত্রা বেশি এমন ফলমূল খান নিয়মিত।
  • সামুদ্রিক মাছ আর ঘন সবুজ রঙের শাকসবজি, এর চেয়ে বড় সুহৃদ চোখের আর কেউ নেই। আপন করে নিন এই খাবারগুলোকে।
  • চোখের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও খুব বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় না। চাইলে সপ্তাহের এক বা দুইদিনের সামান্য একটু যত্নেই সুন্দর চোখজোড়াকে প্রাণবন্ত রাখা যায়।
তার জন্য করতে পারেন এই কাজগুলো-
  • সবার জানা, তাও আবার জানাই শসার কথা। শসার দুইটি পাতলা টুকরো চোখের উপর রেখে দিন, পনের মিনিটের বিশ্রামে যান। তারপর ভেজা কাপড়ে মুছে নিন চোখ বা ধুয়ে ফেলুন পানির ঝাপটায়। যখনই শসা কাটা হবে খাওয়ার জন্য, এটা করতে চেষ্টা করুন। অথবা সাপ্তাহিক হিসেব করে নিন নিজের সুবিধা মতন। এতে চোখের মলিন ছাপ দূর হবে, ডার্ক সার্কেল কমবে আর চোখ সতেজ দেখাবে তো অবশ্যই।
  • আলুর কথাও অনেকেই জানেন, যা কিনা শসার মতোই চোখের রূপচর্চায় উপকারী বন্ধু। আলুর পাতলা টুকরো অথবা আলু থেঁতো করে রস নিয়ে সেটা লাগান চোখের উপর আর চারপাশে। দশ থেকে পনের মিনিট রাখলেই যথেষ্ট, তারপর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানির ঝাপটায় ধুয়ে ফেলুন।
  • চা খেয়ে টি ব্যাগটা রেখে দিন মাঝে মাঝে। চায়ের পর্ব মেটানোর পর একটু অবসর পেলে সেই টি ব্যাগ বন্ধ চোখের পাতায় রাখুন খানিকটা সময়ের জন্য। চোখের শান্তি হবে, সাথে মনেরও।
Share:

নিয়মিত চোখের যত্ন

নিয়মিত চোখের যত্ন 

মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সুন্দর রাখতে আমাদের চেষ্টা যেন শেষ নেই। পার্লার থেকে জিমে যাওয়া কোন কিছুই বাদ রাখি না। অথচ একটি বারও ভাবি না সুনয়না চোখের কথা। কিন্তু যখন সাজতে বসি প্রথমেই মাথায় আসে চোখ দুটিকে কী ভাবে সাজাবো। তখন আর কিছু পরোয়া করি না। তাই চোখ বাবাজিও মাঝে মাঝে বিগড়ে বসে! এ জন্যই নিয়মিত চোখের যত্ন নেয়া দরকার। আজ তার কথাই বল‌ি….
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন। চোখে পানির ঝাপটা দেওয়ার সব থেকে ভালো পদ্ধতি হল, মুখ ভর্তি পানি নিয়ে নিন। মুখে পানি নেওয়া অবস্থাতেই চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন। কিছুক্ষণের জন্য সবুজ গাছের দিকে তাকিয়ে থাকুন।
চোখের সুস্থতার জন্য চোখের কিছু ব্যায়াম:
১। ক্লকওয়াইজ ও এন্টি ক্লকওয়াইজ চোখের মণি ঘুরিয়ে চোখের ব্যায়াম করুন। ১০ সেকেন্ড করে করুন। এতে চোখের ক্লান্তি দূর হবে; চোখের পেশিও শক্তিশালী হবে।
২। চোখের পেশির রক্ত সরবরাহ সচল রাখাতে দুই হাতের তালু কয়েক মিনিট ঘষে আলতোভাবে হাতের তালু দিয়ে আলাদা করে চোখ বন্ধ রাখুন পাঁচ সেকেন্ড। ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিতে থাকুন। এতে চোখের বিশ্রামও হবে।
৩। এক হাত দূরে একটি কলম নিয়ে সোজা কলমটির দিকে তাকিয়ে থাকুন। তারপর ধীরে ধীরে কলমটিকে কাছাকাছি নিয়ে আসেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না কলমটিকে ঘোলাটে দেখা যায়। এরপর আবারও কলমটিকে ধীরে ধীরে কাছে থেকে দূরে নিয়ে যান। খেয়াল রাখুন, চোখের দৃষ্টি যেন কলমের দিকে থাকে।
৪। ঘরের এক কোনায় বসে ঘরের সব ছোটখাট বস্তু গুলোর (দরজা , লাইট, ফার্নিচার, ঘড়ি) দিকে হালকাভাবে একটার পর একটাতে দৃষ্টি বুলাতে থাকুন। এটি চোখের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়াতে সহায়তা করে।
৫। রাতে ঘুমানোর সময় বিছানায় শুয়ে এই ব্যায়ামটি করবেন। চোখ বন্ধ করে চোখের পাতা আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। ভ্রুর নিচের দিকটা এবং চোখের নিচের দিক এভাবে ২ মিনিট ম্যাসাজ করে নিন।
চোখের সুস্থতার জন্য খাদ্যতালিকায় যা যা রাখতে পারেন-
১। বিভিন্ন শাক-সবজি:
শাক-সবজিতে ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, প্রচুর পরিমাণে লুটেইন এবং জিয়াক্সানথিন আছে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যেটি ক্ষতিকারক নীল আলোর তীব্রতা ৪০-৯০ শতাংশ কমিয়ে ফেলে। এর ফলে সূর্য থেকে আসা সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচায়। তাই এই শাক-সবজি আপনি আপনার প্রতিদিনের খাবার মেন্যুতে রাখতে পারেন।
২। গাজর:
বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর গাজর চোখের ম্যাকুলার কমে যাওয়া এবং ছানি পড়া প্রতিরোধ করে। গাজর খেলে চোখে কম দেখা সংক্রান্ত কোনো জটিলতা দূর হয়ে যায়। এই সবজিটি আপনি সালাদের সাথে বা বিভিন্ন সবজির সাথে রান্না করে খেতে পারেন। তবে কাঁচা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
৩। ডিম:
গবেষকদের মতে, ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন, জিয়াক্সানথিন এবং জিংক আছে যেগুলো চোখের ম্যাকুলার পতন রোধে সাহায্য করে থাকে। এজন্য প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খেতে পারেন।
৪। কাজুবাদাম:
গবেষকরা বলেন কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই আছে যেটি চোখের ম্যাকুলার পতন অনেকটা কমিয়ে ফেলতে পারে। একমুঠো কাজুবাদাম প্রতিদিন আপনার প্রয়োজনীয় ভিটামিন ই এর অর্ধেক অংশ পূরণ করে থাকে।
৫। মিষ্টি আলু:
গবেষণাতে দেখা গেছে যে মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং রাতের আলোতে চোখের দৃষ্টি ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
যে সমস্ত খাবারে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-ই র মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে সে সমস্ত খাদ্যে রোজকার খাবারে রাখার চেষ্টা করুন। তাছাড়া ডি যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। গাজর, বিট, পেঁপে ইত্যাদি পুষ্টিকর শাক-সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
এছাড়াও,
-আলু কিংবা শসার টুকরো চোখের ওপর দিয়ে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। ক্লান্তি কাটবে। চোখের তলায় কালি থাকলে দূর হবে।
-মুলতানি মাটি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দইয়ের সাথে মিশিয়ে চোখের নিচে লাগালে উপকার পাবেন।
-তুলসি পাতাবাটা ও চন্দনবাটা গোলাপ জল দিয়ে মিশিয়ে চোখে লাগান।
-ঠান্ডা টি-ব্যাগ চোখের পক্ষে আরামদায়ক।
-পুদিনা পাতার রস চোখর কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতার রস তুলাতে করে চোখের যে অংশে কালো দাগ আছে সেখানে লাগান। সাবধান থাকবেন যেন কোনভাবেই এই রস চোখের ভেতরে প্রবেশ না করে।
-ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখ বন্ধ করে চারপাশে বাদামের তেল দিয়ে ম্যাসেজ করুন। এটা কালো দাগ তুলতে খুব ভালো কাজ করে। এছাড়া চোখের চামড়া কুঁচকানোও দূর করে।
-চোখের মেক-আপের জন্য সব সময় খুব ভালো ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে দামের সঙ্গে একটু কম্প্রমাইজ করে নিন। দিনের বেলাতে চোখে খুব একটা চড়া মেক-আপ না করাই ভালো। সান প্রটেক্ট মেক-আপ প্রোডাক্টই দিনে ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমানোর আগে মেক-আপ অবশ্যই খুব ভালো করে তুলে নিয়ে তবেই শুতে যাবেন। চোখের মেক-আপ তুলতে অলিভ তেল বা আমন্ড তেল ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে কোন অলসতা নয়। আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করুন বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে।
-সূর্যের আলোতে অনেকেরই চোখ জ্বালা করে, চোখে পানি আসে , চোখ কুঁচকে তাকাতে হয়, এটা চোখের জন্যে ক্ষতিকর। তাই দিনের বেলা বাইরে বেরনোর সময় সূর্যের আলো থেকে চোখকে বাঁচাতে সানগ্লাস ও ছাতা ব্যবহার করুন।
-ঘুম চোখকে পরিপূর্ণ বিশ্রাম ও পুনর্দৃষ্টির জন্য শক্তি দেয়। অপর্যাপ্ত ঘুম দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। চোখের সুরক্ষার জন্য প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
-রোজ সকালে ১০ মিনিট চোখের ব্যায়াম করুন। চেষ্টা করুন দুশ্চিন্তা থেকে বিরত থাকার।
-যখন তখন চোখে হাত দিবেন না। অযথা চোখ ঘষবেন না। হাতের ময়লা থেকে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া ঘষাঘষিতে চোখের নরম ত্বকে বলিরেখা পড়ে।
-দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখার জন্যে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খান।
-প্রতিদিন অন্তত ৮/১০ গ্লাস পানি পান করুন।
– নিয়মিত কম করে হলেও ৮ ঘণ্টা ঘুমান।
-বেশি বেশি সবুজ শাক-সবজি খান। খাবারের পাশাপাশি সালাদ খাবেন।
-বাইরে থেকে ফিরে চোখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ঝাপটা দিন।
-ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। আমরা যাই করিনা কেন যদি নিয়মিত করতে পারি তবে তার ফল আমরা অবশ্যই পাব।
Share:

চোখের অ্যালার্জি প্রতিরোধ করুন

 চোখের অ্যালার্জি প্রতিরোধ করুন 

আপনার চোখ দিয়ে কি প্রায়ই পানি পড়ে? চোখ কি লাল হয়ে চুলকায় অথবা জ্বালা – পোড়া করে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে চোখের অ্যালার্জির ব্যাপারে। বলা হয়ে থাকে চোখ হচ্ছে মনের জানালা। কিন্তু কথাটি মিথ্যা হয়ে যাবে যদি অ্যালার্জির কারণে আপনার চোখ ফুলে লাল হয়ে থাকে বা অনবরত পানি পড়তে থাকে। অন্যান্য অ্যালার্জির মত চোখের অ্যালার্জিতে মানুষ তখনই আক্রান্ত হয় যখন তার শরীরের ইমিউন সিস্টেমে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। চোখের পিউপিল বা কালো মণির চারদিকে যে সাদা অংশ থাকে সেই অংশের আবরণের নাম কনজাংটিভা। অ্যালার্জিজনিত কারণে কনজাংটিভার প্রদাহকে চুলকানি রোগ বলা হয়। যে সব দ্রব্য অ্যালার্জি সৃষ্টি করে তাকে বলা হয় এলারজেন। আমাদের ঘরে বাইরে চারপাশে প্রচুর অদৃশ্য পদার্থ আছে, এসব ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এলারজেন থেকেই চোখের অ্যালার্জি হতে পারে, ধুলোবালি, বিভিন্ন খাবারের মধ্যে থাকা রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি এর মধ্যে অন্যতম। শুষ্ক মৌসুমে শুধু চোখের না বরং অন্যান্য অ্যালার্জিও বেশি হয়ে থাকে। তবে এটা জেনে রাখা ভালো যে সব অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থেই সবার চোখে অ্যালার্জি হয় না। যাদের শরীরে অ্যালার্জি বেশি হয়, তাদের চোখের অ্যালার্জিও বেশি হয়। হাঁপানি রোগী, শিশু এবং যারা বাইরে ধূলোবালির সংস্পর্শে বেশি থাকে, তাদের মধ্যে চোখের অ্যালার্জি বেশি দেখা যায়। শুনে হয়ত অবাক হবেন যে মাথায় খুশকি থাকলেও চোখের অ্যালার্জিতে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন।
অ্যালার্জির প্রকারভেদঃ
২ ধরনের অ্যালার্জি দেখা যায় । সিজেনাল আর বারোমেসে।
• সিজেনাল অ্যালার্জি বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে হয়ে থাকে বিশেষ করে শরৎ কালে আর বসন্তকালে। এসব সময়ে এলারজেন যেমন ঘাস, গাছ থেকে পরাগ রেণু বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি ছত্রাক থেকে স্পোরও বাতাসে ছড়িয়ে আমাদের চোখের অ্যালার্জির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
• বর্ষজীবী অ্যালার্জি সারা বছরই হয়ে থাকে। সাধারণত ধূলোবালি, পাখির পালক, পশুর গায়ের লোম, ধোঁয়া, ক্লোরিন, কসমেটিকস, পারফিউম ইত্যাদিও চক্ষু অ্যালার্জির জন্য দায়ী।
চোখের অ্যালার্জির লক্ষণঃ
০১. চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
০২. চোখে চুলকানি হওয়া আর অনবরত পানি পড়া।
০৩. চোখ খচখচ করা মানে চোখের ভেতর কিছু ময়লা পড়েছে এমন বোধ হওয়া।
০৪. চোখ ফুলে যাওয়া
ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রতিরোধের উপায়ঃ
০১. চোখের অ্যালার্জির প্রিভেনটিভ হিসেবে গোলাপ জলের জুড়ি নেই। ২-৩ ফোঁটা গোলাপ জল অ্যালার্জি আক্রান্ত চোখে দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য চোখ বন্ধ করে রাখতে হবে যেন জলটা চোখে প্রবেশ করে আর ইনফেকশন সারিয়ে তোলে।
০২. ৩ চা চামচ লবণ এক গ্লাস পানিতে দিয়ে ২০ মিনিট ফুটাতে হবে। তারপর ঠাণ্ডা হলে এক টুকরা পরিষ্কার তুলা দিয়ে আক্রান্ত চোখের কোণা মুছতে হবে। যেন চোখে থাকা ময়লা বের হয়ে আসে এবং চুলকানি আর অস্বস্তি থেকে আপনাকে থেকে মুক্তি দেয়।
০৩. চোখের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পানির অবদানের কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। চোখে চুলকানি হলে বা লাল হয়ে গেলে বারবার ঠাণ্ডা পানি দিন।
০৪. কিছু আমলকির গুঁড়োর সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাবেন। এতে আপনার ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি সাধন হবে আর অ্যালার্জি থাকবে আপনার কাছ থেকে দূরে।
০৫. সায়েনি এক ধরণের হার্ব। কিছুটা আমাদের দেশের মরিচের মতই। সায়েনি রক্ত সঞ্চালনে উন্নত করে এবং টক্সিন রিলিজ করতে সাহায্য করে। এভাবে চোখের ময়লাও পরিষ্কার করে।
চোখের অ্যালার্জি এড়িয়ে চলার কয়েকটি টিপসঃ
০১. শুষ্ক মৌসুমে যখনই বাইরে বের হবেন ধূলোবালি থেকে রক্ষা পেতে নাকে-মুখে মাস্ক এবং চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করবেন।
০২. চোখ চুলকালে আঙ্গুল দিয়ে চোখ রগড়াবেন না। সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলবেন।
০৩. টিভি বা কম্পিউটারের সামনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করবেন না।
০৪. সাবধানে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করবেন।
০৫. খেয়াল রাখবেন গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, ডিম জাতীয় কোন খাবারের কারণে আপনার অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা।
০৬. ঘরের কার্পেট নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
০৭. ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আই ড্রপ ব্যবহার করবেন।
০৮. আপনার যদি বাড়ীতে লোমশ পোষা কোন প্রাণী থাকে তাহলে তার থেকে সতর্ক থাকবেন।
মোট কথা সব সময় পরিষ্কার পরিছন্নতার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। অনেক সময় হয়ত বুঝতে পারেন না আপনার চোখের অ্যালার্জি কেন হচ্ছে। কিন্তু কিছু কিছু সময় যেমন বাইরে বেশি বাতাস হলে আপনি যদি বের হন বা ধোঁয়া যুক্ত জায়গায় গেলে যদি আপনার চোখে জ্বালা-পোড়া করে বা চুলকায় বা পানি পড়ে তাহলে বুঝবেন এগুলোই আপনার জন্য ক্ষতিকারক। তারপরও যদি বুঝতে না পারেন আপনি কিসের প্রতি সংবেদনশীল তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
Share:

চোখের বাড়তি যত্ন

চোখের বাড়তি যত্ন 

চোখ এবং এর আশেপাশের ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী। এক কথায় এটিও এক ধরনের ডার্ক সার্কেল চিকিৎসার মতো বিষয়। আমাদের শরীরের মধ্যে চোখ সবচেয়ে বেশি সেনসিটিভ। আর আমরা বেশিরভাগ সময় চোখে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। তাই একটু বাড়তি যত্ন না নিলে চোখ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
চোখ পরিষ্কার
চোখ পরিষ্কার করার জন্য নিচের উপাদানগুলো দিয়ে চমৎকার একটি লোশন বানিয়ে নিতে পারেন।
  •  ৫/৬ টি আমলকী
  •  ১ কাপ পরিষ্কার পানি
  •  একটি কাপড়ের তৈরি পরিষ্কার ছাঁকনি
যেভাবে এপ্লাই করবেন-
আমলকীগুলো ভালোভাবে ধুয়ে ১ কাপ পানিতে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।এরপর একটি পরিষ্কার পাত্রে পানিটুকু ছেঁকে নিন।    এবার একটি আই কাপে উক্ত পানিটুকু নিয়ে তার মধ্যে চোখ ডুবিয়ে কয়েকবার তাকান। এতে চোখের মধ্যে পানিটুকু ঢুকে চোখ পরিষ্কার করবে।
চোখের ব্যায়াম
  • বাইরের কড়া রোদ থেকে ফিরে সাথে সাথে চোখে পানি না দিয়ে একটু রেস্ট নিয়ে তারপর দিন।
  • যারা প্রচুর পড়াশোনা করেন তারা- প্রথমে একটি চেয়ারে বসে মাথা পেছনের দিকে হেলিয়ে দিন। এরপর ধীরে ধীরে চোখ বুজে ফেলুন। এরপর আস্তে আস্তে একটু বড় করে তাকান। এতে ফ্রেশ লাগবে। এবং রোদে গেলে অবশ্যই রোদ চশমা ব্যাবহার করবেন।

চোখের পরিচর্যা
এই কাজে নিচের উপাদানগুলো প্রয়োজন হবে
  • ১ টেবিল চামচ শশার রস
  • এক টেবিল চামচ লেবুর রস
  • শুকনা তুলো
যেভাবে এপ্লাই করবেন
উপরের উপাদান দুটি একটি পাত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি লোশন জাতীয় মিশ্রণতৈরি করুন। এরপর আরামদায়ক একটি কুশনেহেলান দিয়ে বসে শশা-লেবুর মিশ্রন দিয়ে তৈরি লোশনের পাত্রে তুলা ভিজিয়ে চোখের চারপাশে আলতো করে ঘষতে থাকুন। এরপর উক্তস্থানে লোশনে ভেজা আরেক টুকরো তুলা চাপ লাগিয়ে রাখুন। এই অবস্থায় ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
– কটন প্যাড জোগার করুন কিছুটা। তারপর সেটা বরফ ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে চোখের চারপাশে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
– আলুর খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন। এরপর এটিকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে চোখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

Share:

৫টি কার্যকরী ও সহজ উপায়ে বন্ধ করুন অকালে চুল পাকা

৫টি কার্যকরী ও সহজ উপায়ে বন্ধ করুন অকালে চুল পাকা

বর্তমানে অনেকেরই কম বয়সে চুল পাকার প্রবণতা দেখা যায়। চুল সাদা হবে বা পেকে যাবে, এটাই স্বাভাবিক আর এটা বয়স হলে । কিন্তু অল্প বয়সে চুল পাকা মোটেও স্বাভাবিক নয়। কিছু কারনবসত অনেকের অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে , এগুলোর মধ্যে ভেজাল খাবার, দূষণ, অনিয়মিত জীবনযাপন ও ক্ষতিকর কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার অন্যতম। অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ করতে চাইলে এখনি জেনে নিন কয়েকটি আয়ুর্বেদিক সহজ উপায়।
১) ১০ গ্রাম মেহেদিপাতা, ১০ গ্রাম কেশুতপাতা, হরীতকীর ছাল, ২টি আমলকী, ৭-৮টি জবুফলের মাঝের অংশ ও বিটের রস ভালো করে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে হেয়ার টনিক তৈরি করুন। এই টনিক নিয়মিত পুরো চুলে লাগান। ৪০ মিনিট রেখে ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অসময়ে চুল পাকা প্রতিরোধ করতে পারবেন খুব সহজেই।
২) হরতকীর গুঁড়া ১ চা চামচ, মেহেদি পাতা বাটা দুই চা চামচ এবং আধাকাপ নারকেল একসাথে মেশান। এবার ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করুন। পুরো চুলে লাগিয়ে ২ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
৩) একটি দুটি করে চুল সাদা হতে শুরু করলেই মেহেদি, ডিমের কুসুম ও টকদই একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগান। সপ্তাহে এক বার এই প্যাক ব্যবহার করুন। এই প্যাক চুল পাকা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৪) আমলকীর রস, বাদামের তেল ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করুন। চুল পাকা কমে যাবে।
৫) ১ কাপ নারকেল তেল, ১ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়া, ২ টেবিল আমলকী গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল দিন। তেল বাদামি রঙ ধারণ করলে নামিয়ে ফেলুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নিন। এই তেল সপ্তাহে ২ দিন চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। ২ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পাকার সমস্যা দূর হবে দ্রুত।
চুলের ধরন অনুযায়ী নিয়মিত ভালো ব্যান্ডের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের ক্রিম, জেল, স্প্রে, সিরাম, কালার ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এ সবই বিভিন্ন ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে, যেগুলো চুলের জন্য কোনোভাবেই ভালো নয়। নিয়মিত ফলমূল, রঙিন শাকসবজি, পুষ্টিকর খাবার খান ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। চুল সাদা হওয়া প্রতিরোধ তো করবেই, সেই সাথে চুল হবে সুন্দর ও ঝলমলে।
Share:

৩টি সহজ উপায়ে চুলের আগা ফাটা সমস্যার সমাধান করুন

৩টি সহজ উপায়ে চুলের আগা ফাটা সমস্যার সমাধান করুন


খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা হল চুলের আগা ফাটা। এই যন্ত্রণার কারণে চুল ঝাড়ুশলার মতো দেখায়। শুধু তাই নয় আগা ফাটার সমস্যার কারণে চুল বড় হতে চায় না । চুলের আগার দিক ফেটে দুই তিন দিকে যায় বলে আগার অংশ লালচে ও রুক্ষ লাগে। স্টাইলও করা যায় না ঠিক মতো। তাই এই সমস্যার সমাধান খুব জরুরী। চলুন আজকে শিখে নেয়া যাক পদ্ধতিগুলো।
১)চুলের যত্নে মধুর ব্যবহার
মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের জন্য যেমন ভালো তেমনই চুলের জন্য কার্যকরী। গোসলের ঠিক আগে পুরো চুল ভিজিয়ে নিয়ে তারপর ভালো করে মধু মাখিয়ে নিন। চুলের গোঁড়া থেকে শুরু করে আগা পর্যন্ত ভালো করে মধু মাখাবেন। একটু স্টিকি হলেও সমস্যা নেই। ৫-১০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতেই বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।
২) জবা ফুলের ব্যবহার
নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলে ২ টি জবা ফুল গরম করে নিন। এরপর তেল ছেঁকে ঠাণ্ডা করে বোতলে রেখে দিন। প্রতিবার ব্যবহারের আগে একটু গরম করে নিয়ে চুলের আগা এবং গোঁড়ায় অনেক ভালো করে তেল মাখিয়ে নিন। এরপর ২০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারে চুল সংক্রান্ত সকল সমস্যার সমধান পাবেন। চুলের আগা ফাটা সহ আরও চুল সংক্রান্ত সমস্যা যেমন খুশকি, চুল পড়া ইত্যাদির সমাধান দেবে জবা ফুলের ব্যবহার।
৩) ডিম ও দুধের হেয়ার মাস্ক
অনেক বেশি কার্যকরী হেয়ার মাস্ক এটি। ১ টি ডিমের কুসুম, ২ টেবিল চামচ দুধ, ১ চা চামচ চিনি/ মধু একসাথে ভালো করে মিশিয়ে চুলে আগা থেকে গোঁড়া সম্পূর্ণ ভালো
লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ বার ব্যবহারেই বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।
Share:

Popular Posts

Blog Archive

Powered by Blogger.

Blog Archive

Unordered List

  • Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit.
  • Aliquam tincidunt mauris eu risus.
  • Vestibulum auctor dapibus neque.

Theme Support

Need our help to upload or customize this blogger template? Contact me with details about the theme customization you need.