নিশিন্দার নানা ঔষধি গুণ
ঔষধি গাছ নিশিন্দা মধ্য বর্ষার ঘটনা। গিয়েছিলাম পদ্মাপাড়ের মান্দ্রা গাঁয়ে। ফেরার পথে ঢুঁ মারি স্যার জগদীশচন্দ্র বসু জাদুঘরে। এর চারপাশে হরেক রকম ফুলের বাহার। খুব চেনা ছোট আকারের গাছ দেখে এগিয়ে যাই। যার শাখার ডগায় এক গোছা খুব ছোট আকারের ফুল। মূলত এটি ছোট আকারের বৃক্ষ অথবা একটি বড় ধরনের গুল্ম। লম্বা পাঁচথেকে সাত মিটার। গাছটির দিকে অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আমার সঙ্গী আমাকে বলে কী ব্যাপার, এই গাছ কি তুমি নতুন দেখলে নাকি? বলতে বলতে গাছটির কিছু পাতা মুখে দিয়ে চিবাতে শুরু করে। আমি লক্ষ্য করলাম, গাছটির পাতা উজ্জ্বল সবুজ, অগ্রভাগ সুচালু। বর্শাফলাকৃতি, আর সেই পাতার রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।
যা তিন থেকে পাঁচ ফলক বিশিষ্ট হয়ে থাকে। একেকটি পাতা দুই থেকে তিন সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা। আমি পাতা থেকে এবার ফুলের দিকে দৃষ্টি দিই। ছোট আকারের বেগুনি রঙা ফুল হাতে নিয়ে এবার আমার সঙ্গীকে বলি এ হলো নিশিন্দা। জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিশিন্দা গাছে ফুল ফুটতে দেখা যায়। এটি একটি কার্যকর ঔষধি গাছ। নিশিন্দা বাংলা নাম। নিশিন্দাকে সামালু, নিশিন্দে ও নিগুণ্ডী নামেও ডাকা হয়। সংস্কৃত নাম সিন্দুভার, ইন্দ্রাণী ও নীলা নির্গুণ্ডি। চাকমা ভাষায়, নিশিন্দা হলো গাউর বো, মারমারা বলে চয়েং মাইন। যার প্রচলিত ইংরেজি নাম চেস্ট ট্রি (ঈযধংঃব ঞৎবব)। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীয় নাম ঠরঃবী হবমঁহফড়। পরিবার ঠবৎনবহধপবধব। দেশের সর্বত্রই এই পত্রঝরা গুল্ম অথবা গাছটির দেখা পাওয়া যায়। তবে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটু বেশিই এর দেখা মেলে।
গুণাগুণ
নিশিন্দা গাছের পাতা, ফুল, বীজ ও মূল ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। সব ধরনের চর্মরোগ, সর্দি, হাঁপানিসহ গলগণ্ড রোগে নিশিন্দা ব্যবহারে রোগ উপশম হতে দেখা যায়। তা ছাড়া জ্বর, বাতজ্বর, মাথায় টাকপড়া, আমাশয়, শরীরের মেদ, ঋতুস্রাব, মুখের ঘা, যকৃৎ এবং প্লীহার বৃদ্ধিতে নিশিন্দার ফুল, বীজ ও শিকড়ের বহুল ব্যবহার লক্ষণীয়। তা ছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিশুর কান্না থামানোর জন্য নিশিন্দার পাতা বেঁটে শরীর মালিশ করা হয়, কোথাও কোথাও পাতা সেদ্ধ করে সে পাতার পানি দিয়ে শিশুকে গোসল করানো হয়।
ঔষধি গাছ নিশিন্দা মধ্য বর্ষার ঘটনা। গিয়েছিলাম পদ্মাপাড়ের মান্দ্রা গাঁয়ে। ফেরার পথে ঢুঁ মারি স্যার জগদীশচন্দ্র বসু জাদুঘরে। এর চারপাশে হরেক রকম ফুলের বাহার। খুব চেনা ছোট আকারের গাছ দেখে এগিয়ে যাই। যার শাখার ডগায় এক গোছা খুব ছোট আকারের ফুল। মূলত এটি ছোট আকারের বৃক্ষ অথবা একটি বড় ধরনের গুল্ম। লম্বা পাঁচথেকে সাত মিটার। গাছটির দিকে অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আমার সঙ্গী আমাকে বলে কী ব্যাপার, এই গাছ কি তুমি নতুন দেখলে নাকি? বলতে বলতে গাছটির কিছু পাতা মুখে দিয়ে চিবাতে শুরু করে। আমি লক্ষ্য করলাম, গাছটির পাতা উজ্জ্বল সবুজ, অগ্রভাগ সুচালু। বর্শাফলাকৃতি, আর সেই পাতার রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।
যা তিন থেকে পাঁচ ফলক বিশিষ্ট হয়ে থাকে। একেকটি পাতা দুই থেকে তিন সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা। আমি পাতা থেকে এবার ফুলের দিকে দৃষ্টি দিই। ছোট আকারের বেগুনি রঙা ফুল হাতে নিয়ে এবার আমার সঙ্গীকে বলি এ হলো নিশিন্দা। জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিশিন্দা গাছে ফুল ফুটতে দেখা যায়। এটি একটি কার্যকর ঔষধি গাছ। নিশিন্দা বাংলা নাম। নিশিন্দাকে সামালু, নিশিন্দে ও নিগুণ্ডী নামেও ডাকা হয়। সংস্কৃত নাম সিন্দুভার, ইন্দ্রাণী ও নীলা নির্গুণ্ডি। চাকমা ভাষায়, নিশিন্দা হলো গাউর বো, মারমারা বলে চয়েং মাইন। যার প্রচলিত ইংরেজি নাম চেস্ট ট্রি (ঈযধংঃব ঞৎবব)। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীয় নাম ঠরঃবী হবমঁহফড়। পরিবার ঠবৎনবহধপবধব। দেশের সর্বত্রই এই পত্রঝরা গুল্ম অথবা গাছটির দেখা পাওয়া যায়। তবে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটু বেশিই এর দেখা মেলে।
গুণাগুণ
নিশিন্দা গাছের পাতা, ফুল, বীজ ও মূল ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। সব ধরনের চর্মরোগ, সর্দি, হাঁপানিসহ গলগণ্ড রোগে নিশিন্দা ব্যবহারে রোগ উপশম হতে দেখা যায়। তা ছাড়া জ্বর, বাতজ্বর, মাথায় টাকপড়া, আমাশয়, শরীরের মেদ, ঋতুস্রাব, মুখের ঘা, যকৃৎ এবং প্লীহার বৃদ্ধিতে নিশিন্দার ফুল, বীজ ও শিকড়ের বহুল ব্যবহার লক্ষণীয়। তা ছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিশুর কান্না থামানোর জন্য নিশিন্দার পাতা বেঁটে শরীর মালিশ করা হয়, কোথাও কোথাও পাতা সেদ্ধ করে সে পাতার পানি দিয়ে শিশুকে গোসল করানো হয়।
No comments:
Post a Comment